দীর্ঘ ৩৬ বছর পর চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির দক্ষিণাঞ্চলের জনপদে আওয়ামী লীগের দূর্গে শক্তি মহড়া দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার বিকালে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আজাদী বাজারে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে বিশাল প্রীতি সম্মেলন আয়োজন করে দক্ষিণ ফটিকছড়ি জামায়াতে ইসলামী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে দম্ভ করে করে বলেছিলেন জামায়াতকে দাবাইয়া দিচি, অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাস আজ শেখ মুজিব সাহেব এবং তাঁর দল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আরো বলেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন, অতীতে বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপ্রধান এভাবে স্পষ্ট ভাষায়, সাহসী বক্তব্য দিতে পারেন নাই। ফটিকছড়ির সাবেক এক সাংসদকে ইঙ্গিত করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আপনি ধর্মের নামে ব্যবসা করেছেন, ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছেন। ১৪ দলে থেকে জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন। শাহজাহান চৌধুরী বলেন শেখ হাসিনার আমলের সকল সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ আগামী এক মাসের মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হবে। ফটিকছড়ির দক্ষিণাঞ্চলের জনপদে জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিক কর্মকা- চালাতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখন জুলুমবাজরা পালিয়েছে, যাঁরা মানবতার কল্যাণে কাজ করে সেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সগৌরবে রাজনীতির মসনদ পুনরুদ্ধার করেছে। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আমীর আলাউদ্দিন সিকদার। অধ্যক্ষ মাওলানা আ.ন.ম আব্দুশ শাকুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক নুরুল আমীন চৌধুরী, সৈয়দ আব্দুল মোনায়েম, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, অধ্যাপক ফজলুল করিম ও নাজিম উদ্দিন সিকদার। বক্তব্য দেন, আব্দুর রহীম, অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন, মাওলানা তৈয়ব আলী নূরী, মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আবু জাফর মোহাম্মদ আলম ও খোরশেদুল আলম ফিরোজ।