বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, সরকারের বিদায়ের ধ্বনি বাজতে শুরু করেছে। এই ধ্বনি ইতোমধ্যে সচিবালয়, গণভবনে পৌঁছে গেছে। তাই লুটেরা তাদের লুণ্ঠিত অর্থ নিরাপদ রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও ১ দফা আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার, সদস্য সচিব শাহিনুর নার্গিস, যুগ্ম আহবায়ক হোসনে আরা লিজা, হাসিনা বেগম হাসি, রাজিয়া সুলতানা শিউলীসহ মহানগর ও বিভিন্ন থানার মহিলা দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সালাম বলেন, ভাবছেন দেশের টাকা, জনগণের টাকা লুট করে পালাবেন? সুযোগ নেই। দেশের জনগণতো আপনাদের আগেই প্রত্যাখান করেছে, এখন বিদেশীরা এই ভোট চোর এবং দুর্নীতিবাজদের ঠাই দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন কই যাবেন? কোথায় পালাবেন? চারিদিকে আপনাদের অন্ধকার। এখনো সময় আছে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়ে বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্তি দেন। তাহলে হয়ত লুণ্ঠিত অর্থ ফেরত না পেলেও জনতার রেষ থেকে বেঁচে যাবেন।
তিনি বলেন, আজ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। অথচ রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রী ১৭৮ জনকে নিয়ে আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জাতিসঙ্ঘের অধিবেশন মাত্র ৩ ঘণ্টার। আর ১৮ দিন ধরে জনগণের টাকায় আমোদ করছেন। এই টাকা কারো পৈতৃক নয়, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সবকিছুরই একদিন হিসেব দিতে হবে।
আফরোজা আব্বাস তার বক্তব্যে বলেন, এ সরকারের আমলে আজ মা-বোনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এরা মানুষকে সম্মান দিতে জানে না। এরা শুধু জানে কিভাবে জনগণের টাকা লুট করা যায়, কিভাবে ভোট চুরি করা যায়। তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। শুধু খালেদা জিয়া নয়, বন্দী আছে গণতন্ত্র, বন্দী আছে দেশের বাক-স্বাধীনতা। এ থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে আমাদের ভাইদের পাশাপাশি মা-বোনদেরও রাজপথে নামতে হবে।