শনিবার সন্ধ্যায় ২৮ তারিখের সমাবেশকে স্বাগত জানিয়ে সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদ মিছিল করে। মিছিলটি বিজয়নগর পানিরট্যাঙ্কির মোড় থেকে শুরু করে, নাইটিংগেল মোড়,পল্টন মোড় ঘুরে আবার পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফের স ালনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন আগামীকাল গণতন্ত্র,ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপি ,গণঅধিকার পরিষদসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ মহাসমাবেশ ঢেকেছে। সরকার আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায়, সিএনজি,বাসে মানুষের মোবাইল চেক করছে, হয়রানি-নাজেহাল করে গণগ্রেফতার করেছে। আমরা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে চাই হামলা-গ্রেফতার করে হুমকি দিয়ে পতন ঠেকানো যাবে না। আওয়ামীলীগের পতন ঘন্টা বেজে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ তার ভোটের অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে,বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাস্তায় নেমেছে , বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী বাকশালীদের হাত থেকে গণতন্ত্র মুক্তির জন্য ,দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় রাস্তায় নেমে এসেছে। দূর্নীতিবাজ আওয়ামীলী সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতোমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় এসে পড়েছে।
প্রশাসন কে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিবাদ বনাম জনগণের যে লড়াই শুরু হয়েছে সেখানে আপনারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়াবেন না ,জনগণের পাশে থাকুন ,আপনাদেরও মঙ্গল হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে জনগণ আওয়ামী ফ্যাসীবাদকে পরাজিত করবে। আপনারা যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ান তাহলে আপনাদের পরিণতি ভালো হবে না। জনগণের উপর টিয়ারগ্যাস ,গুলি ছুড়লে জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আমরা দেশের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই নেমেছি। চূড়ান্ত লড়াইয়ের শুরু হবে, সেই লড়াইয়ে পিছনে যাওয়ার সুযোগ না। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না , জনগণের পাশে থাকুন
সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, “২৮ তারিখের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেছে। কিন্তু সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে জনগণ ঢাকায় ঢুকে পড়েছে। কোন ষড়যন্ত্র করে আন্দোলন থামানো যাবেনা। ১৪ ও ১৮ সালের মত আওয়ামীলীগ একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আজকে শুধু দেশের মানুষ না, আন্তর্জাতিক বিশ্বও এই সরকারের গুম খুন ভোটডাকাতির বিরুদ্ধে। আমেরিকা ইউরোপ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ সংলাপ চায়। কিন্তু সরকার সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে লগি-বইঠার আন্দোলন করে, লাশের উপর নৃত্য করে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজপথে ফয়সালা হবে। কোনভাবেই এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজিব,শহিদুল ইসলাম ফাহিম,জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, আনিসুর রহমান মুন্না, ডলি আক্তার সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।