বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রভাব কিছুটা পড়েছে আশুলিয়ার সড়ক মহাসড়কগুলোতে। স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক কম সংখ্যক যানবাহন চলছে এসব সড়কে। জরুরি পরিবহন ছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলরত দক্ষিণবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের জন্য আশুলিয়ার নবীননগর বাস টার্মিনালে মোট বাস কাউন্টারের সংখ্যা ৩২টি। তবে এর মধ্যে মাত্র ৪ কাউন্টার খোলা রয়েছে। আর এতে ভোগান্তিতে পরছেন খুলনা, বেনাপোল, বাগেরহাট, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনাসহ কয়েকটি জেলার যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ কাউন্টার থেকে টিকেট দেওয়া হচ্ছে না। তবে টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দাবি, হরতালের কারণে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে যারা এসেছেন তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাবার পর টিকিট বিক্রি করা হবে। আবার অনেকে বলছেন রাস্তায় কয়েক জায়গায় গাড়ি পোড়ানোর খবর পেয়ে গাবতলী থেকে বাস ছাড়ছে না অনেক পরিবহন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, আশুলিয়ার বাইপাইল ও ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, সড়কে তেমন কোনো গণপরিবহন নেই। তাই বেশিরভাগ মানুষই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, লেগুনায় চড়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন। হঠাৎ দুই একটি স্বল্প দূরত্বের বাসের দেখা মিললেও দূরপাল্লার বাসের দেখা মিলেনি কোথাও। এদিকে, মহাসড়কে নিরাপত্তার নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের একাধিক টিমকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র?্যাবের কয়েকটি গাড়িকেও টহল দিতে দেখা যায়। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, সড়কে চলমান যানবাহন ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক টিম সাভার-আশুলিয়ার মহাসড়কগুলোতে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর আছে।