নওগাঁর বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করেছে। জেলা সদরে অবস্থিত কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামীণ হাট বাজারসমূহে পর্যাপ্ত শাকসবজি আমদানি হচ্ছে। কৃষকরা তাঁদের জমি থেকে সরাসরি যেমন বাজারে আনছেন অন্যদিকে বিভিন্ন গ্রামীণ হাট বাজার থেকে ব্যাবসায়ীরাও নিয়ে আসছেন। বাজারগুলোতে শাকসব্জির দামও কমতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে এখন শাকসবজির দাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলায় মোট ৮৫৮৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত জেলায় ৫৮৬০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছে। শাকসবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে কৃষি বিভাগ প্রত্যাশা করছে। সূত্রমতে উপজেলা ভিত্তিক শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ২১৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১১৪০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২০০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৯২৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১২৬৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৪১০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৪১০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১০১৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬৪০ একর জমিতে। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা উল্লেখিত জমি থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৩৪ মেট্রিকটন শাকসবজি উৎপাদিত হবে। বর্তমানে অধিকাংশ শাকসবজির দাম ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ দাম কমেছে। মঙ্গলবার নওগাঁর হাট বাজার সমূহে লাল শাক ২০/৩০ টাকা প্রতি কেজি,ডাটা শাক ১০/২০ টাকা হালি, ধুনাপাতা ৮০/১০০ টাকা কেজি,রান্থুনি ২০০/২৫০ টাকা কেজি,পালঙ্গ শাক ৩০/৪০টাকা কেজি,পুই শাক-কলমি শাক-পাট শাক ২০টাকা কেজি, ফুলকপি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেপে ২৫/৩০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, কচু ৭০/৮০ টাকা, করলা ৭০/৮০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতিটি ৩০/৪০ টাকা, সীম ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ঝিঙে ৪০টাকা, মূলা ৩০/৪০টাকা, বরবটি ৬০/৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ২৫/৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঢেড়স ৬০/৮০ টাকা, কাকরুল ৮০টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।