মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার পরও ৬ বছরে শেষ হয়নি বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ “বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না” কুড়িগ্রামে এলজিইডির দুই কিলোমিটার রাস্তা কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ ডোমার বিএডিসির বীজ আলু উৎপাদন খামারে আউশ ধান চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্কার প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ খুজে পাওয়া যায়নি বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস মানিকগঞ্জে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উৎযাপিত বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৩শ বোতল ফেনসিডিল জব্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতী বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এাণ বিতরণ কেশবপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে সংস্কার কাজের জন্য রাতে সোনাহাট ব্রীজ বন্ধ ঘোষণা

শাহীন আহমেদ কুড়িগ্রাম :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

কুড়িগ্রামে সোনাহাট স্থল বন্দরের সাথে একমাত্র যোগাযোগের সড়ক পথ দুধকুমার নদীর উপর নির্মিত সোনাহাট ব্রীজে রাতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) থেকে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই ঘোষণা কার্যকর করবেন বলে জানিয়েছে। এরফলে এই সড়কপথে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় সংস্কার কাজ পরিচালনা করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০ দিন মেরামত কাজ চলবে বলে সড়ক বিভাগ জানিয়েছে। এ সময় স্থল বন্দর থেকে ঢাকা গামী ও ঢাকা থেকে স্থলবন্দর গামী ভারী পণ্যবাহী ট্রাক ও সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সোনাহাট ব্রীজটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এর পাটাতন ভেঙ্গে গেছে, ট্যাংক জাম (লোহার পাতি) খুলে গেছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিটিশ শাসন আমলে ১৮৮৭ সালে লালমনিরহাট থেকে ভারতের গৌহাটি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের ওপর নির্মিত হয় ১২০০ ফুট দীর্ঘ সোনাহাট রেলসেতু। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রবেশ ঠেকাতে বোমা মেরে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্থায়ীভাবে সড়কপথটি চালু করা হয়। এই সেতুর শত বছরের মেয়াদকাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর দক্ষিণ পাশে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪৫ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ শুরু হয়েছে। নতুন সেতুটির নির্মানের মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদারদের গাফিলতার কারণে অর্ধেক কাজেই আটকে আছে। ফলে দুর্ভোগ কমাতে পুরনো রেলসেতুটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানী ও রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় আমরা হতাশ। স্বভাবতই এখন এই ব্রীজের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগেও সংস্কারের জন্য ব্রীজে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে দ্রুত কাজটি শেষ করলে ভালো হয়। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ব্রীজের প্লেটগুলো আগের থেকে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই সংস্কারের জন্য ঘোষিত প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্রীজের সব প্লেট খুলে কাজ করতে হবে। এতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১৫-২০ দিন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com