মানুষ-মানুষের জন্যে, জীবন-জীবনের জন্যে,” ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলে রুমান(২৩)কে আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন তার বিধবা মাতা। রুমান শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের গরুহাটির নদীর পাড়ের বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে। ৩ ভাই, ২ বোনের মধ্যে রুমান সবার ছোট। সহায়-সম্বল ও ভিটেমাটি ছাড়া রুমানের দিনমজুর বাবা আব্দুল বারিক গত ৭/৮ বছর আগে মারা গেছেন। রুমানের বিধবা মাতা অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজের পাশাপাশি শ্রমিকেরও কাজ করেন। গত ৬/৭ মাস আগে রুমানের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার বিধবা মাতা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। এতে কয়েকদিন কোনমতে স্বাভাবিক থাকলেও পরে আরো শরীর খারাপ হলে পূণরায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানেও কোন কাজ না হলে রুমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে রুমানের প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় রুমানকে নিয়ে তার বিধবা মাতা ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, বিভাগীয় প্রধান (রেডিওথেরাপি বিভাগ) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলামের নিকট চিকিৎসা নেন। তিনি যাবতীয় পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে রুমানের শরীরের তিন স্থানে ক্যান্সারের নমুনা নিশ্চিত হয়ে তাকে দ্রুত থেরাপি দিতে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। ব্যয়বহুল এই থেরাপি দেয়ার টাকা না থাকায় রুমানের বিধবা মাতা রুমানকে নিয়ে বাড়ী ফিরে আসেন। থেরাপি না দিয়ে বাড়ীতে আসার পর যতই দিন যাচ্ছে, রুমানের শারীরিক অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে। এমতাবস্থায় রুমানকে বাঁচাতে তার সহায়-সম্বল ও ভিটেমাটিহীন বিধবা মাতা সমাজের অর্থবান ও বিত্তবানদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। আপনার দেয়া অর্থে বেঁচে যেতে পারে একজন টকবগে যুবক। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, বিভাগীয় প্রধান (রেডিওথেরাপি বিভাগ) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, রুমানকে যতদ্রুত সম্ভব থেপারি দিয়ে নিয়ন্ত্রনে রাখা দরকার। সময়মতো থেরাপি দিতে না পারলে তার পুরো শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় শারীরিক ও মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে রুমান ও তার বিধবা মাতা। যদি কোন সহৃদয়বান, অর্থবান ও বিত্তবান রুমানকে আর্থিক সহায়তা করতে রুমানের পানসোনাল বিকাশ নম্বরে -০১৯০৯-৯০৫-৮৮৯ যোগাযোগ করতে রুমানের বিধবা মাতা সকলকে অনুরোধ করেছেন।