দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী। অতীতের ন্যায় এবারো তিনি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। সাবেক এমপি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী এবারো তিনি দলীয় প্রতীকে সংসদ নির্বাচনের ঘোষনা দিয়ে আবারো ভোটের মাঠে আলোচনায় এসেছেন। কোন প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিবেন মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার দিন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলে তিনি জানান। তবে শুনা যাচ্ছে দলের প্রতি অভিমান থেকে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে নমিনেশন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা চৌধুরী শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে জমিয়ত থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে লেখেন আমি ফকিরেরও ছেলে নই– ইনশাআল্লাহ নির্বাচনের পর মাঠে দেখা হবে। গুড বাই প্রাণের জমিয়ত”। সাবেক এমপি এড. মাওঃ শাহীনূর পাশা চৌধুরী জমিয়ত থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি এবারো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তার এই ঘোষনার পর দেশে বিদেশে তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের মাঠের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, পাশা চৌধুরীর টাকায় জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট জমিয়ত সু-প্রতিষ্ঠিত (শক্তিশালী) হয়েছে। তার রাজনীতির শুভ সূচনা হয় ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেলের পদের মাধ্যমে। তাহার হাতে গড়া ছাত্র জমিয়তের মাধ্যমে সারাদেশে আজ জমিয়তের বিশাল কর্মী বাহিনী তৈরি হয়েছে। জমিয়তের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, সাবেক মন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কসসের পর এড. মাওঃ শাহীনূর পাশা চৌধুরী জমিয়তের জন্য বিশাল প্রাণ। তিনি ধর্মীয় ও আধুনিক ঞ্জানের বিশাল অধিকারী। তিনি জমিয়ত থেকে পদত্যাগ করায় দলের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। জগন্নাথপুর- সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে জমিয়তের জন্য পাশা চৌধুরীর বিকল্প নাই। জানাগেছে, জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জে জমিয়তকে আরো শক্তিশালী করতে কুতবে বাঙ্গাল আল্লামা আমিন উদ্দিন শায়খে কাতিয়া ও আল্লামা আব্দুল হক শায়খে গাজিনগরীর পরামর্শে এবং নির্দেশে সাবেক ছাত্র নেতা এল,এল. বি পরীক্ষা চলাকালিন ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগ-৩ আসনে স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী জমিয়তের প্রার্থী হয়ে খাজুর গাছ প্রতীকে প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলজাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ এমপির সাথে শাহীনূর পাশা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসময় পত্র পত্রিকায় এসেছিলো দাদা নাতির লড়াই। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর ২০ জুলাই ৪ দলীয় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী ১৪ মাসের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন পাশা চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ মান্নান এমপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক এমপি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা শাহীনূর পাশা চৌধুরী। ২০১৪ সালে জোটের সিদ্ধান্তে পাশা চৌধুরী নির্বাচন বর্জন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পাশা চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে থাকলেও নির্বাচনের দিন কারচুপী এবং নৌকার কর্মী সমর্থকরা সেন্টার দখল করার অভিযোগ অনে সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। এই নির্বাচনে পরিকল্পনামন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে আলহাজ্ব এমএ মান্নান আবারো এমপি নির্বাচিত হন। এবার ২০২৩ সালে সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এড. মাও. শাহীনূর পাশা চৌধুরী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এবং পাশা চৌধুরীর দীর্ঘদিনের এ নির্বাচনী রাজনীতির মাঠের ফসল নিজস্ব বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে জমিয়তের মাঠের নেতাকর্মীরা জানান। জমিয়তের নেতাকর্মীরা আরো জানান পাশা চৌধুরী রাজনীতির মাঠে তিনি ফেক্টর। দল এবং দলের নেতাকর্মীদের জন্য মন উজার করে দেন। পাশা চৌধুরীর দীর্ঘদিনের রাজনীতির চাষ হিসেবে সব দলের মানুষের সাথে পাশা চৌধুরীর সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি ভোটের মাঠে এক বিশাল ব্যাপার। এবং তাহার নিজস্ব বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী জানান, নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি গ্রামে আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ়। নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমাকে তাদের হৃদয় থেকে ভালোবাসে তাদের অনুরোধ অতীতের ন্যায় এবারো নির্বাচনে অংশ নিব। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিবেন।