প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ঠেকাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় জাপানের মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী টোকিওসহ একাধিক জায়গায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে জনগণকে বাড়িতে রাখতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সরকারকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আগামী ৬ মে পর্যন্ত রাজধানী টোকিওসহ সাতটি অঞ্চলে এ জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।
টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে আবে বলেছেন, ‘সব নাগরিকের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমাদের পদক্ষেপ পরিবর্তন করা।
আমরা সবাই যদি অন্তত ৭০ শতাংশ কিংবা আদর্শভাবে ৮০ শতাংশ যোগাযোগ অন্যের সঙ্গে কমিয়ে আনতে পারি তাহলে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারব।’
আবে সরকার অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ৯৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপানের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের ২০ শতাংশ।
গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে টোকিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে এক হাজার ২০০ তে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত. জাপানের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে জাপানে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে ব্যাপক হারে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে টোকিওতে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। জানা গেছে, শুধু টোকিওতেই হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র