ট্কং আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহ এর ৩৩তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। রোববার কমরেড মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির আয়োজনের এ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় টংঙ্ক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্ত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন, র্যালি, গণভোজ ও বিকেলে আলোচনা সভায় সিপিবি উপজেলা সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর এর সঞ্চালনায়, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুর্গাপ্রসাদ তেওয়ারী‘র সভাপতিত্বে কমরেড মণি সিংহের জীবনীর উপর আলোচনা করেন, কমরেড মণি সিংহের একমাত্র সন্তান, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ডা. দিবালোক সিংহ, কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এড. কমরেড মানিক মজুমদার, সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোস্তাক আহমেদ, অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, উপজেলা সুজন সভাপতি অজয় সাহা, সিপিবি জেলা কমিটির নেতা শামছুল আলম খান, সিপিবি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপক সরকার, আদিবাসী নেতা নিরন্তর বনোয়ারী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিন ব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মাধ্যমে মণি সিংহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। এখানে অবস্থানকালে এখানকার কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষাণ সভার মহাসম্মেলনের তিনি অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সারাজীবন মেহনতি মানুষে পক্ষে রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুৃক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। নতুন প্রজন্মের কাছে এই মহান নেতার জীবনী তুলে ধরতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আলোচনা শেষে উদীচী দুর্গাপুর ও শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।