এক যুগেও নির্মিত হয়নি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের পশ্চিম কুলপাগলী জঙ্গল রশিদের ঘোনা এলাকায় পাগলীখালের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার কুলপাগলির চড়ার দুই গ্রামের বাসিন্দার। এ ব্রিজটি পারাপারের সময় একাধিকবার দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন অনেকেই। ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের উপর স্টিলের সিট গুলো ভেঙে যাওয়ার ফলে দীর্ঘদিন ধরে তারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। বর্তমানে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ব্রিজের পাটাতনের উপর কাঠ বসিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ স্থানীয়রা। চলাচল করতে গিয়ে বারবার দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন তারা। জনপ্রতিনিধীরা বারবার ব্রিজটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বাস্তবায়ন হয়নি এবং জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বের অবহেলায় এ ব্রিজটি সংস্কার হচ্ছেনা বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মন্নান মাঝি জানান, দূর্গম এই এলাকাটি কৃষি নির্ভর এলাকা হওয়ায় ব্রিজটি সংস্কার করা হলে যেমন স্থানীয় কৃষকদের উপকার হবে, তেমনি ছোট-বড় অনেক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শীতের মৌসুমে কোনরকম চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে ব্রিজ সহ আশপাশের রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন জানান, ব্রিজটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের সংস্কার করতে না পারলে প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের বরাদ্দ নিয়ে খুবই দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম বলেন, এই ব্রিজের জন্য দুই গ্রামবাসীর কষ্টের সীমা নেই। এমনকি, একজন রোগী নিয়ে যাথায়ত করা যায় না। বিকল্প রাস্তা হিসেবে অনেক দূর দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। কাঙ্ক্ষিত এই ব্রিজটি হয়ে গেলে আমাদের দুই গ্রামের মানুষের অনেক বছরের আশা পূর্ণ হবে।