রাস্তায় ছুটছে নিবন্ধন ও ফিটনেসবিহীন ট্রাক্টর-পাগলু। ট্রাফিক পুলিশ সেসব গাড়ি থামিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সারিবদ্ধ করে প্রতিটি গাড়িতে লাগানো হচ্ছে স্টিকার। এরপর চালক ও তাঁর সহকারীর হাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম। গাড়ি ছুটছে ভোটকেন্দ্রে। শনিবার সকাল থেকে বীরগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় শতাধিক গাড়ি জড়ো করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সরঞ্জাম সরবরাহের কাজে ব্যবহার হয় এসব যান। অন্য সময় এসব যান অবৈধ হলেও নির্বাচনের সময় তা কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছানোর কাজে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাঁরা নির্বাচন কর্মকর্তাকে গাড়ি ‘রিকুইজিশন’ করে সহযোগিতা করছেন। বীরগঞ্জ পৌরশহরে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ফিটনেস ও নিবন্ধনবিহীন পাগলু-ট্রাক্টর মালামাল পরিবহন করে। জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিশচা) শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন গাড়িচালকের সঙ্গে আলাপের সময় তাঁরা বলেন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিদিন ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২০ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। সংগঠন থেকে দেওয়া হয়েছে একটি টোকেন। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আটকালে টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেয়। উপজেলা ট্রাক্টর মালিক-শ্রমিক কল্যাণ তহবিল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অন্য সময় আমরা অবৈধ, শুধু নির্বাচনের কাজে বৈধ। আমরা নিজেরাই একটা সিস্টেমে পড়ে গেছি।’