ওপেনারের অবসর মেনে নিতে পারছেন না উসমান খাজা। ৩১ বছর পর ২২ গজের বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ। ওয়ার্নারের অবসরে মন খারাপ অস্ট্রেলীয় ওপেনারের। সিডনিতে পাকিস্তানকে তৃতীয় টেস্টে হারানোর পর খাজা শোনালেন অজানা গল্প। জাতীয় দলে খেলার অনেক আগে থেকে ওয়ার্নারের সাথে বন্ধুত্ব খাজার। ক্রিকেট শেখার সময় থেকে জাতীয় দল- তিন দশকের বেশি সময় একসাথে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। তাদের বন্ধুত্বের কথা প্যাট কামিন্সেরা সকলেই জানেন। ইনিংসের শুরুতে প্রিয় বন্ধুকে আর ২২ গজের অপর প্রান্তে পাবেন না, ভাবতে পারছেন না খাজা।
শেষবারের মতো সিডনির মাঠ ছাড়ার সময় ওয়ার্নার জড়িয়ে ধরেন খাজার মাকে। তিনিও সন্তানসম ওয়ার্নারকে কাছে টেনে নেন। আবার খেলা শেষে ওয়ার্নার এবং খাজার পরিবার একসাথে ছবিও তুলেছে। দলের এক সতীর্থের সাথে ওয়ার্নারের ঘনিষ্ঠতা ক্রিকেটপ্রেমীদের নজরও এড়ায়নি। পরে ঘনিষ্ঠতার রহস্য ফাঁস করেছেন খাজা।
অসি ব্যাটার বলেছেন, ‘ছোট থেকেই আমরা ভালো বন্ধু। একসাথে খেলা শিখেছি স্থানীয় ক্লাবে। এক সাথে ব্যাগি গ্রিন টুপি পড়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমাদের দু’জনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িতও হয়েছে। এমন নয় যে আমাদের সামনে কোনো বাধা আসেনি। আমরা সেগুলো অতিক্রম করেছি। ব্যক্তিগতভাবে নানা চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে। ক্রিকেটজীবনে দু’জনেরই খারাপ সময় এসেছে। সে সময় পরস্পরের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
শনিবার টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ৩৭ বছরের ওয়ার্নার। ক্রিকেটজীবন শেষ করে এগিয়ে যান খাজার মায়ের দিকে। এ নিয়ে অসি ওপেনার বলেছেন, ‘আমার মাকে ওয়ার্নার জড়িয়ে ধরেছে। আসলে আমি মাকে যত দিন চিনি, ওয়ার্নারও প্রায় তত দিনই চেনে আমার মাকে। ওকে ভীষণ ভালোবাসেন আমার মা। উনি তাকে ডাকেন শয়তান বলে। মানে ডেভিল। অনেক সময় সাটান বলেও ডাকেন। আমার মা ওকে সন্তানের মতোই স্নেহ করেন।’
ছয় বছর বয়স থেকে বন্ধু ওয়ার্নার এবং খাজা। দু’জনের পরিবারের মধ্যেও রয়েছে দারুণ সম্পর্ক। এবসর সময় একসাথে ঘুরতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে যান তারা। কঠিন সময় খাজার মা সব সময় সাহস দিতেন ওয়ার্নারকে। বল বিকৃতিতে অভিযুক্ত ওয়ার্নারকে মানসিকভাবে তরতাজা রাখার চেষ্টা করতেন খাজার মা। ক্রিকেটজীবন শেষ করে সেই কৃতজ্ঞতা জানাতেই বন্ধুর মাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেন ওয়ার্নার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা