কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনের ৩ টিতেই ৪ প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে নির্বাচন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩ টিতে নৌকার প্রার্থী ও একটিতে কল্যাণ পার্টি বিজয় লাভ করেছেন।
নির্বাচিত হয়েছেন যারা:
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয?ারম্যান সাবেক মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু ঈদগাঁও) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয?ার কমল, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪টি আসনে রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে যথা নিয়মে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয় গণনা।
রাতে ভোট গণনা শেষে কক্সবাজারের জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তবে এরিমধ্যে নির্বাচনে অনিয়মের ও হামলার অভিযোগ এনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা। ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন- কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর এবং জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো। কক্সবাজার-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যরিস্টার মিজান সাঈদ বলেন, ‘নৌকার কর্মী সমর্থকরা ১২১টি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দিয়েছে। জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। একজনে ৩০/৪০টা জাল ভোট দিচ্ছে এমন অভিযোগ মিনিটে মিনিটে পাচ্ছিলাম। এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। সুতরাং এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এই অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে জাতীয় পার্টির ‘লাঙল’ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো বলেন, ‘নৌকার কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট ও কর্মীদের বের করে দিয়েছে। এছাড়া ভোট ছিঁড়ে নিচ্ছে। লাঙলের কর্মীদের হাত থেকে ব্যালট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। প্রশাসনকে অবহিত করেছি। ১ ঘণ্টা পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি ভোট বর্জন করেছি।’ কক্সবাজার জেলার চার সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০ জন এবং নারী ভোটার ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন।