সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

আল কুরআনের বৈশিষ্ট্য

আ স ম আল আমিন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪

আল কুরআন পৃথিবীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক নির্ভেজাল মহাগ্রন্থের নাম। যার ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কোনো ব্যক্তি অধ্যয়ন করলে বুঝতে পারবে তার ভাষাশৈলী ও ব্যাপকতা কতটা গভীরে। এই মহাগ্রন্থের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা প্রত্যেক পাঠকের জানা থাকা দরকার।
আল্লাহর কালাম : আল্লাহ তায়ালার কথামালার নির্ভেজাল সমাহার হলো আল্লাহর কালাম। যাতে কারো মনগড়া কিচ্ছা, কাহিনী ও পরিবর্তনের বিন্দু পরিমাণ সুযোগ নেই। প্রতিটি শব্দ-বাক্য মানবজাতির জন্য উপদেশ। আর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বাণী হলো আল্লাহর কালাম। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘সততা ও ইনসাফের দিক থেকে তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার সাধ্য কারো নেই। আর তিনি হলেন সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (সূরা আনআম -১১৫)
সহজ প্রকৃতি : আল কুরআনের ভাষা সহজ প্রকৃতির তা বুঝতে হলে পড়তে হবে আধুনিক যুগের মানবরচিত আরবি কিতাবগুলো। আল কুরআনের মতো পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো গ্রন্থ এভাবে মানুষ মুখস্থ করতে দেখেনি, দেখাও যায়নি। কুরআনের তিলাওয়াতকে যেমন সহজ করেছেনে, এর মর্মবাণী বোঝার ক্ষেত্রেও সহজ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আমি উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে কুরআনকে সহজ করে নাজিল করেছি। উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?’ (সূরা কামার-৫৮) অন্য আয়াতে বলেন- ‘আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।’ (সূরা দুখান-৫৮)
অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা : কুরআনের মতো আর কোনো গ্রন্থ পৃথিবীতে নেই যে অন্যান্য গ্রন্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। একমাত্র কুরআন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে তার মতো একটি আয়াত বা একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আসতে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আপনি তাদের বলে দিন, যদি সমগ্র মানব আর জিনজাতি একত্রিত হয়ে এ কুরআনের মতো একখানা কিতাব রচনা করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়, তবুও তারা তা আনতে সক্ষম হবে না; যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে এ কাজে সাহায্য -সহযোগিতা করে।’ (সূরা ইসরা-৮৮)
চিরস্থায়ী : এ কিতাব স্থায়িত্বের গুণে গুণান্বিত। কোনো জাতি-গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়নি। কারণ এর সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘নিশ্চয় আমিই কুরআন নাজিল করেছি, আর অবশ্যই আমি এর সংরক্ষক।’ (সূরা হিজর-৯)
ব্যাপকতা : কুরআন বক্তব্যের মধ্যে সব যুগের সব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘এ কুরআন হচ্ছে বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশসংবলিত গ্রন্থ।’ (সূরা তাকভির-২৭) আল্লাহ তাঁর রাসূলকে সম্বোধন করে অন্য আয়াতে বলেন- ‘আমি আপনার প্রতি এ কিতাব নাজিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রতিটি মানুষের জন্য সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। এ ছাড়াও রয়েছে সত্যের পথনির্দেশনা, রহমত এবং আত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ।’ (সূরা নাহল-৮৯)। লেখক : কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, বাংলাদেশ কওমি ছাত্র পরিষদ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com