একেবারে স্পষ্ট ভাষায় ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি ছিল, ভারতকে অবিলম্বে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানির অনুমতি দিতে হবে। না হলে প্রত্যাঘাত করবে অ্যামেরিকা। ট্রাম্পের হুমকির পর দাবি মেনে মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব দেশে করোনা ভয়াবহ আকার নিয়েছে, সেখানে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করা যাবে। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই জার্মান সংবাদমাধ্যম বলছে, স্পষ্টতই ট্রাম্পের হুমকির কারণে রফতানির অনুমোদন দিতে বাধ্য হয়েছেন মোদি।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহৃত হচ্ছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। অ্যামেরিকাতে গবেষকরা দেখেছেন, করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সাহায্য করছে। এদিকে দেশে যেন এই ওষুধের অভাব না হয়, সেজন্য মোদি সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সহ মোট ২৬টি ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ভেন্টিলেটার রপ্তানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে।
দু’দিন আগে ট্রাম্প মোদিকে টেলিফোন করে বিশেষ করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বলেন। কোনওরকম রাখঢাক ছাড়াই ট্রাম্প রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, ‘’ভারতের সিদ্ধান্তে আমি অবাক হয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমার পছন্দ হয়নি। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেছিলাম। অনেক বছর ধরে ওরা বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে আসছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, ওষুধের সরবরাহ আবার শুরু হলে আমরা ভারতের প্রশংসা করব। আর ওরা যদি সিদ্ধান্ত না বদলায় তো ঠিক আছে, তখন আমরাও প্রত্যাঘাত করব।’’ এই হুমকির মুখে এ বার সিদ্ধান্ত বদল করলো ভারত।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রবিবার ও সোমবার করোনা নিয়ে মন্ত্রি-পরিষদের বৈঠক হয়। দেশে আগামী দিনে কত ওষুধ লাগতে পারে, কতটা আছে তা খতিয়ে দেখা হয়। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, যা প্রয়োজন তার থেকেও ২৫ শতাংশ ওষুধ হাতে রেখে তারপরই রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।