শীতে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার ত্বক থেকেই খুশকি তৈরি হয়। আবার পুরুষদের দাড়ি-গোঁফেও এ সমস্যা দেখা দেয়। শীতে খুশকির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার বিশেষ কিছু কারণ আছে।
বিশেষ করে শীতে আবহাওয়া এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে মাথার ত্বকও আর্দ্রতা হারায়। আর এ কারণে বাড়ে খুশকির সমস্যা। এর সমাধানে অনেকেই বাজারচলতি শ্যাম্পু কিংবা তেলসহ নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে একটি তেল ব্যবহারেই এ সমস্যা কমাতে পারেন, আর তা হলো নিমের তেল। নিম তেলের মধ্যে আছে বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান। এই উপাদানগুলো চুল ও মাথার ত্বকের জন্য নানা কারণে উপকারী।
নিম তেলে আছে একাধিক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলোর মধ্যে আছে ওলেইক অ্যাসিড, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, পামিটিক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো শুধুই খুশকির সমস্যা দূর করে, তা নয়। বরং আরও বেশ কিছু গুণ আছে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের। এই পুষ্টি উপাদানগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রকৃতির। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া নিমের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে তেলের পুষ্টি উপাদান।
নিম তেলের এই গুণগুলোই ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। পাশাপাশি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পকে প্রচ- শীতেও আর্দ্র রাখে। নিম তেলের অ্যাজাডিরাকটিন জীবাণুর বংশবিস্তার রোধ করে। ফলে উঁকুনের সমস্যাও দূর হয়। নিমের মধ্যে থাকা নিমবিডিন মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করে। পাশাপাশি স্ক্যাল্পে কোনো ছত্রাককে বাসা বাঁধতে দেয় না। অর্গ্যানিক নিম তেল এখন বিভিন্ন সুপারশপ কিংবা অনলাইনেও পাওয়া যায়। চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারবেন। এজন্য কী করবেন জেনে নিন- এই তেল প্রস্তুত করতে দরকার হবে একগোছা টাটকা নিমপাতা, নারকেল তেল ও সামান্য পানির। প্রথমে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে নিমপাতা ও কিছুটা পানি নিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন।
এবার একটি প্যানে কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করুনি অল্প আঁচে। ২৫০ গ্রাম নিমপাতার জন্য আধা কাপ তেল নিতে হবে। গরম তেলে এবার মিশ্রণটিকে ঢেলে দিন। এরপর ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে আঁচ আরও কমিয়ে ধীরে ধীরে নাড়ুন, এক সময় মিশ্রণের রং সবুজ থেকে কিছুটা বাদামি হয়ে যাবে। তখন আঁচ নিভিয়ে দিন। একটি পাত্রে মিশ্রণটি থেকে তেলটি ছেঁকে নিন। এবার তেলটি বোতলে ভরে রেখে ব্যবহার করুন সপ্তাহখানেক। সূত্র: এবিপি লাইভ