সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বার্সালোনার। মৌসুম-জুড়ে রীতিমতো ধুঁকছে তারা। কোপা দেল রে থেকে বিদায় নেয়ার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এর মাঝে, তিন দিনের ব্যবধানে আবারো লজ্জায় পড়ল বার্সেলোনা। সেটাও বড় ব্যবধানে, ৫-৩ গোলে ভিয়ারিয়ালের কাছে।
এই হারে শিরোপার লড়াই থেকে আরো পিছিয়ে পড়ল বার্সেলোনা। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সাথে পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ১০। ২১ ম্যাচ শেষে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে জাভির দল। গত শনিবার এস্তাদিও অলিম্পিকো লুইস কোম্পানিয়েসে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামে বার্সালোনা। ৮ গোলের রোমা কর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলে হেরে যায় স্বাগতিকেরা। ৩৮ দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে পারার স্মৃতিটা সুখকর হলো না। ২০২০ সালের পর প্রথমবার ৫ গোল হজম করল বার্সালোনা। শুরু থেকে আধিপত্য ধরে রেখে খেললেও ম্যাচের প্রথম ভাগে জেরার্ড মোরেনোর গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েছিল ভিয়ারিয়াল। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ইলিয়াস আখোমাচের গোলে হয় ২-০। তবে এরপর আক্রমণের পসরা সাজিয়ে নাটকীয়ভাবে ১১ মিনিটে তিন গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিক বার্সেলোনা। ৬০ মিনিটে লেভানডফস্কির পাস থেকে ইওকায় গুন্দোয়ানের গোল করলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকেরা। ৮ মিনিট পর বার্সাকে সমতায় ফেরান পেদ্রি। গুন্দোয়ানের পাস থেকে গোল করেন তিনি। এর তিন মিনিট পরেই নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন ভিয়ারিয়ালের ডিফেন্ডার এরিক বেইলি। ফলে দুই গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
তবে নাটকীয়তার তখনো ঢের বাকি। বার্সেলোনা যখন তিন পয়েন্ট ঘরে তোলার অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছে, তখনই ভিয়ারিয়ালকে সমতায় ফেরান বদলি নামা গনসালো গুয়েডস। ৮৪তম মিনিটে সরলথের পাস থেকে বল জালে জড়ান এই পর্তুগিজ। ম্যাচ তখন ৩-৩। এমন সময় বার্সার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। প্রাণ ফিরে পায় বার্সার গ্যালারি। তবে সেই আনন্দ মাটি হয় ভিএআরে চেক করে রেফারি ওই পেনাল্টি বাতিল করলে। উত্তেজনায় ম্যাচ তাতে আরো জমে ওঠে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা গড়ায় ১২ মিনিটে।
কিন্তু শেষ দিকে টানা দুই গোল করে ম্যাচের তিন পয়েন্ট জিতে নেয় ভিয়ারিয়াল। যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে আলেক্সান্ডার সরলথ আর ১২তম মিনিটে হোসে মোরালেস গোল করে বার্সেলোনাকে হতাশায় ডোবান। নাটকীয়তা ভরা ম্যাচটা শেষ হয় ৫-৩ গোলে।