ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের জীবনব্যবস্থার নতুন খবর জানা গেছে। তিনি খাদ্যাভ্যাসের জন্য তৈরি করেছেন একটি সময়সূচি। যেখানে সপ্তাহের ৩৬ ঘণ্টা উপবাস থাকেন তিনি। আর প্রতি সোমবার কিছুই খান না তিনি। প্রতি সপ্তাহের রবিবার বিকাল ৫টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করেন ৪৩ বছর বয়সী ঋষি সুনাক। এ সময় তিনি শুধু পানি, চা অথবা ব্ল্যাক কফি পান করেন।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মি. সুনাক বলেন, ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারার অংশ হিসেবে এটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হিসেবে আমি প্রতি সপ্তাহের শুরুতে উপবাস করার চেষ্টা করি। যদিও প্রত্যেকে এটি আলাদাভাবে করে। তবে মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা রয়েছে। তিনি সপ্তাহের বাকি অংশে তার পছন্দের চিনিযুক্ত সব খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।
তিনি স্বীকার করে বলেন, আমার সমস্যা হলো আমি চিনিযুক্ত জিনিস পছন্দ করি। পুরো সপ্তাহে প্রচুর চিনিযুক্ত পেস্ট্রি এবং অন্য সব খাবার খাই। কারণ আমি এসব খাবার পছন্দ করি। চাকরির কারণে আমি আগের মতো ব্যায়াম করতে পারি না। তাই সপ্তাহের শুরুতে নিজেকে একটু পুনঃস্থাপন করি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র সানডে টাইমসের বরাতে জানিয়েছে, এটা সত্য যে তিনি প্রতি সোমবার কিছুই খান না। এদিন তিনি ঘুরতে যান অথবা নিজ কার্যালয়ের কাজে প্রস্তুতি নেন। এটি একটি শৃঙ্খলা, কেন্দ্রবিন্দু ও দৃঢ় সংকল্প, যা তিনি তার জীবন ও কাজের সব ক্ষেত্রে বাস্তব প্রমাণ দেখেন।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণা অনুসারে, ঋষি সুনাকের এই অভ্যাস স্ট্রেসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব বাথের অধ্যাপক জেমস বেটস উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ৩৬ ঘণ্টা উপবাসের পদ্ধতির বিপরীতে একটি সীমাবদ্ধ ক্যালোরি ডায়েট, যা শরীরকে উপবাসের অবস্থায় রাখে না। এর মানে তার শরীর স্বাভাবিক শক্তি সঞ্চয় ব্যবহার করে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতিতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ধরে রাখা যায়। কিন্তু সবার শরীরের পক্ষে এটা মানানসই নয়। যদিও উপবাস ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এর নেতিবাচক দিকগুলি যেমন পেশী ক্ষয় হতে পারে এবং কম শক্তির মাত্রার কারণে শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।