রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৯টি ইউনিয়েনের বিভিন্ন গ্রামে এবারের আলু আবাদ করা হয়েছে ১০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে। আলুর আবাদে আক্রমণ করছে ইঁদুর। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বিভিন্ন কৌশল অবল্বণ কারছেন আলু আবাদকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আলু চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন ফাঁদ দিয়ে কিংবা বিশ দিয়ে ইঁদুরকে মারা যাচ্ছে না। ইঁদুর এখন আপডেট হয়েছে, তারা বুঝতে পারে এসব তাদের মারা জন্য দিচ্ছে। এদিকে আলু চাষিদের অভিযোগ স্থানীয় কৃষি উপসহকারীরা ইউনিয়ন পরিষদের বসে থাকেন তারা মাঠে আসে না। যদি কেউ ইউনিয়ন পরিষদের যায় তাহলে তারা পরামর্শ দেন না গেলে তাদের পরামর্শ পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সকল কৃষি উপ সহকারীকে লেখিত এবং মৌখিক ভাবে নির্দেশ দিয়েছি মাঠে যাওয়ার জন্য , কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য শুধু তাই নয় আমি এবং কৃষি সম্প্রসাধারণ কর্মকর্তা এখন মাঠে চলে যাচ্ছি কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য। আলু চাষিরা জানান, ইঁদুর দমনে তারা বিষটোপ, ফক্সটক্সিন (গ্যাস জাতীয় ঔষধ) ট্যাবলেট, ধোঁয়া ও গর্তেও ভেতর পানি দেওয়ার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। এছাড়া আলু চাষিরা ইুঁদুর ধরার জন্য সার্বক্ষণিক পাহারাও দিচ্ছেন। এত কিছু করার পরেও ইঁদুরের হাত থেকে আলুকে রক্ষা করতে পারছেন না। পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার ৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৮০ হেক্টোর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইুঁদুর গর্ত খুঁড়ে দমন করা সবচেয়ে ভালো, সম্ভব না হলে অন্যান পদ্ধতি যেমন মরিচের ধোঁয়া প্রয়োগ, ফাঁদ ব্যবহার ( বাঁশ,কাঠ, লোহা) গ্লু/ আঠার ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পাওে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করেও দমন করা যায়। যেমন –জিংক ফসফাইড, অ্যলুমিনিয়াম, ফসফাইড, ব্রোমাডিওলন ইত্যাদি তবে ইঁদুর খুব চালাক প্রাণি, সময়ে সময়ে দমন পদ্ধতি পরিবর্তন করে দমন করতে হয়। অন্যান্য খাবারের চেয়ে ইঁদুর আলু খেতে পছন্দ করে। এ কারণে প্রতিবছর আলু ক্ষেত্রে ইঁদুর আক্রমণ হয়। এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেছেন, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় সকল ধরণের পরামর্শ কৃষকদের দিচ্ছেন। পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মাহবুবার রহমান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি কৃষি অফিসার বিষয়টি বলেছি।