উপকুলীয় বনরেঞ্জে মহেশখালীতে অযত্ন অবহেলায়”হামুনে” ঝড়েপড়া কোটি টাকার সেগুন-আকাশমনি বনদস্যুদের নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। বনদস্যু-অসাধু বনকর্মীর কারনে সরকার হারাতে বসে কোটি টাকার রাজস্ব। সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার “ঘূর্ণিঝড় হামুন” আঘাত হানে মহেশখালীর উপকুলে। তা-বে ঝড়ে পড়ে মহেশখালী বনবিভাগের শাপলাপুর, মুদির ছড়া ও দিনেশপুর বনবিটের রিজার্ভ বনের কয়েক হাজার সেগুন সহ সামাজিক বনায়নের আকাশমনি গাছ। শাপলাপুর বিটে কিছু গাছ কেটে নিয়ে স্টক করলেও অপর দুই বিটের পরিপক্ষ গাছগুলো সাড়ে তিন মাস ধরে পড়ে আছে যার নিয়ন্ত্রন এখন কাঠ পাচারকারী ও বনদস্যুদের দখলে। কয়েক হাজার সেগুন গাছের মধ্যে মার্কিং হয়েছে মাত্র ৯০ টি। এখনো বাকী গাছের হিসাব নেই। একটি সুত্র জানায়, গাছের গোড়ায় গোড়ায় গিয়ে দরদাম করে বিক্রী চলছে ইঁদুর-বিড়াল ষ্টাইলে। জানতে চাইলে পৃথক পৃথক ভাবে মুদির ছড়া বনবিট কর্মকর্তা ছানা উল্লাহ ও দিনেশপুর বন বিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন”র তা-বে ঝড়ে পড়া মহেশখালী বনবিভাগের মুদির ছড়া ও দিনেশপুর বনবিটের রিজার্ভ বনে ঝড়ে পড়েছিল কয়েক হাজার সেগুন সহ সামাজিক বনায়নের গাছ। বিগত ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ২০২৩ সন্ধ্যা ৬টার পরপর ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূলে অতিক্রম করে। উক্ত তারিখ মোতাবেক সেগুন গাছের মধ্যে মার্কিং হয়েছে মাত্র ৯০ টি। এখনো চলছে মার্কিং। এখনো বাকী গাছের হিসাব নেই। সংশ্লিষ্ট মুদির ছড়া বনবিট কর্মকর্তা ছানা উল্লাহ ও দিনেশপুর বন বিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ আরো বলেন, নিলাম দেয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা। প্রয়োজনীয় খরচের অভাবে কাঠগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে অনেক সেগুন গাছ উধাও। বাকী গুলোর ও অর্ধেক করে কেটে সাবাড় করছে চোরের দল। উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, গাছগুলো কি অবস্থায় আছে খবর নিয়ে জানাবেন তিনি।