ভোলায় উচ্চ ফলনশীল সরিষা আবাদ করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার ৭ উপজেলায় এবার লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা বিক্রি করে ভালো দাম আশা করছেন কৃষকরা। প্রণোদনাসহ কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর। সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের ভোলার দিগন্ত বিস্তৃত হলুদে ছেয়ে গেছে কৃষকের ফসলের মাঠ। মাঘের হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সরিষা ক্ষেত মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত সরিষার মাঠ। বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। জেলার ৭ উপজেলায় বারি ১৪, বারি ১৬, বারি ১৮ ও বীনা ৪, বীনা ৯ সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। শীতের প্রোকপ বেশি থাকায় ক্ষেত গুলোতে এখন পর্যন্ত পোঁকার আক্রমণ দেখা যায়নি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল (উফশী) সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। উন্নত জাতের সরিষা ৫৫-৬০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো ধান আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরিষা চাষে ৩ মাসের মধ্যে লাভবান কৃষক। কৃষি অফিস থেকে সার, কিটনাশক,বীজ পেলে সরিষার আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। সরকারিভাবে সরিষা ক্রয়ের দাবি চাষীদের। তবে সার এবং কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সরিষা চাষ আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পেলে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক ভাবেও লাভবান হতে পারে কৃষক। সরকারের কাছে কৃষি প্রণোদনার আরো বৃদ্ধির দাবির চাষিদের। কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. হোসেন জানান, কৃষকদের সার্বক্ষণিক পাশে থেকে সার,কীটনাশক, বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকি। ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, ভোলার জেলার কয়েক হাজার কৃষককে প্রণোদনাসহ কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর ভোলা জেলায় ৯ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হলে ১৬ হাজার ৬ শত মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ১শত ২৫ কোটি টাকা বলে জানান এই কৃষিবিদ।