বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারের রাজত্ব জনগণই ভেঙে ফেলবে, বিএনপি পাশে থাকবে। তাই এখন থেকে আর প্রতিবাদ নয় প্রতিশোধ নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে নারীদের ওপর নির্যাতন, শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। এদের ক্ষমতায় রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। মিয়ানমার সীমান্ত, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলেও সরকার প্রতিবাদ করতে পারে না। মিয়ানমারের মতো দেশ গুলি করে এটা কিসের আলামত। রাখাইন থেকে সৈন্যরা এদেশে আসছে কিসের আলামত? গুলি খেয়ে মানুষ মরছে আর প্রতিবাদ করতে পারছে না।
তিনি বলেন, দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, অচিরেই এর জবাব পাবে। সকল অপকর্মের জবাব সরকারকে একবারেই দিতে হবে। সরকারের রাজত্ব প্রাসাদ ভেঙে পড়বে, জনগণ ভেঙে ফেলবে, বিএনপি পাশে থাকবে। আর নয় প্রতিবাদ, এখন হবে প্রতিশোধ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, প্রশাসন, বিচার বিভাগের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই। বিচার করবে দেশের জনগণ। আজ সীমান্তে রক্ত ঝরছে অথচ প্রতিবাদ করতে পারি না। সমস্ত জনগণ রাস্তায় নেমে না আসলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না, কলংকমুক্ত হবে না। দেশ রক্ষায় সকলে রাজপথে নেমে আসুন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশে মানুষকে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার দেশকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে তাতে সকলকে দলমত নির্বিশেষে একাত্তরের স্বাধীনতা রক্ষা করতে আরেকবার যুদ্ধ করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হবে না, গণবিপ্লবের মাধ্যমে সরকারকে সরাতে হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অতীতের মতো আবারও মানুষের সকল অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করে আছে, দেশ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে কারও নিরাপত্তা নেই, মহিলারা নিরাপদ নয়। যতদিন এই সরকারের পতন না হবে ততদিন দেশ থেকে খুন গুম অপহরণ বন্ধ হবে না।