আপনার বয়স কি ইতিমধ্যেই ৪০ পেরিয়েছে? তাহলে কেমন পোশাক আপনার পরা উচিত, সেই সম্পর্কে জানার ইচ্ছেও নিশ্চয়ই আপনার রয়েছে। আপনাকে জানিয়ে রাখি, এমন কিছু ফ্যাশন ট্রিকস রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে আপনাকে মনে হবে অল্পবয়সী তরুণী। স্টাইলের পাঁচটি কারণ ফলো করলে ম্যাজিক হবে নিমেষে!
বয়স বাড়লেও মনে থাকুক আঠারোর রঙিন ছোঁয়া! এটাই যে চিরতরুণ হয়ে ওঠার অন্যতম রহস্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই কথাটি শুধু জীবনধারণের সময়ে মনে রাখলেই চলবে না, স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও একই মিয়ম মেনে চলতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। তাই এমন পোশাক পরতে হবে বা স্টাইল করতে হবে, যাতে ৪০-এও আপনাকে দেখে মনে হয় ২৫-এর তরুণী! নিশ্চয়ই ভাবছেন, তা আবার সম্ভব নাকি? তাহলে জেনে রাখুন, এমন ম্য়াজিক ক্রিয়েট করা একশো শতাংশ সম্ভব। এক্ষেত্রে পোশাক নির্বাচনের সময় কতগুলি টিপস মাথায় রাখতে হবে, তাহলেই বয়স কমিয়ে ফেলতে পারবেন অনেকটাই।
পরুন স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক স্টাইলিং করার জন্যে এমন পোশাক পরবেন না, যা আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাতে আপনার বয়স তো কম লাগবেই না, উল্টে আপনাকে সবার সামনে লজ্জায় পড়তে হবে। তাই আপনি ঠিক যেমন ধরনের পোশাকে কম্ফোর্টেবল, তেমন আউটফিটেই নজর কাড়ুন। সেরকম পোশাকেই দিন আধুনিক ছোঁয়া আর হয়ে উঠুন অনন্যা।
নিউট্রাল রঙে ভরসা রাখুন অনেকেই মনে করেন, বয়স কম দেখানোর জন্যে বোধহয় খুব উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা উচিত! তবে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্পবয়সী লুকের জন্যে চড়া রঙের পোশাক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং সময় বিশেষে নিউট্রাল রং বেছে নিলেই খেলা ঘুরে যাবে। তাই অফিসের ড্রেসের রং বেছে নেওয়ার সময় যেমন এই টিপসটি মাথায় রাখুন, তেমনই ওয়েস্টার্ন ড্রেস কেনার সময়ও বেছে নিতে পারেন এমন ধরনের রং।
ফিটিংসের দিকে ফেরান নজর বয়স বাড়লেই যে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, এমন কোনও অর্থ নেই। তবে ভুলেও যেন খুব টাইট আউটফিট পরবেন না। তাতেও আপনার অস্বস্তি বাড়বে। তাই পোশাক পরতে হবে সঠিক ফিটিংসের, যা খুব টাইটও নয় আবার অত্যন্ত ঢিলেও নয়। কম্ফোর্ট ফিটের আউটফিট পরে আপনাকে দেখতে তো সুন্দর লাগবেই, সেই সঙ্গে এই ধরনের পোশাক আপনার ফিগারকেও কমপ্লিমেন্ট দেবে আর আপনার ওয়েস্টলাইনকেও হাইলাইট করবে।
পোশাকে সামঞ্জস্য রাখা জরুরি আপনি যদি বেশিরভাগ সময়ে জিন্স এবং টি-শার্টের মতো ক্যাজুয়াল পোশাকই পরেন, তাহলে তা পরতেই পারেন। তবে তার পাশাপাশি রঙিন ড্রেস পরাও শুরু করলেই বেশি ভালো। এতে একটি ব্যালেন্স তৈরি হবে। অধিকাংশ সময়ে সালোয়ার-স্যুটই যদি আপনার প্রথম পছন্দ হয়, তাহলে আপনাকে নিজের ফ্যাশন সেন্সে তো সামান্য বদল আনতেই হবে। যেমন- বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পরতে হবে এমন সালোয়ার-স্যুট। আর অন্যান্য় সময়ে একটু ‘হটকে স্টাইলিং’করতে হবে। এই সামান্য ব্যালেন্সটা করতে পারলেই হবে বাজিমাত!
অতিরিক্ত গয়না পরবেন না কোনও লুক ক্রিয়েট করার সময়ে অতিরিক্ত গয়না ভুলেও পরবেন না, কারণ এমন বাড়তি অ্যাকসেসরিজ ক্যারি করার কোনও প্রয়োজনই নেই। এতে আপনার সাজটাই নষ্ট হবে। বরং কোনও পোশাক পরে তার সঙ্গে মানানসই হালকা জুয়েলারি ক্যারি করুন। এতে আপনার লুকে একটি স্পষ্ট বার্তা থাকবে আর আপনাকে দেখতেও লাগবে খুব সুন্দর।