প্রবীণ সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের রায়গঞ্জ সংবাদদাতা ও রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দীপক কুমার কর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গত প্রায় এক মাস যাবৎ শয্যাসায়ি অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন তিনি। (১১ ফেব্রুয়ারি) রবিবার এই প্রথিতযশা সাংবাদিকের পরিবারের পক্ষে তার স্ত্রী গ্লোরী সরকার অসুস্থতার কথা নিশ্চিত করে বলেন, মাস খানেক শয্যাসায়ী থাকার পর শুক্রবার দিবাগত রাতে অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর বেসরকারি খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখন তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। এদিকে খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো সাইফুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাককে বলেছেন, সাংবাদিক দীপক কুমার করের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। জরুরি ভিত্তিতে তার যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন পড়বে। দীপক কুমার করের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে দ্বিতীয়বার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ৪ বছরের চিকিৎসার খরচ যোগাতে তিনি বসত বাড়ির কিছু অংশ বেচে দেন। এখন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার চালিয়ে নেওয়ার মত কোন উপায়ন্তর নাই। বিশেষ করে, তার পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এছাড়াও দানশীল ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের কাছে আর্থিক সহায়তার জন্য মানবিক আবেদন জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার সাংবাদিক দীপক কুমার করের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন ইত্তেফাকের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি মাহমুদুল কবীর ও তাড়াশ সংবাদদাতা গোলাম মোস্তফাসহ রায়গঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এক সময় পিআইবি থেকে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হত। এখন সেটা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কবীর বলেন, নিয়মানুযায়ী স্থানীয় প্রেসক্লাব ও জেলা প্রশাসকের সুপারিশসহ কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করলে আর্থিক সহয়তা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ, সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকো পারি সহায়তা দেব।