রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

এ সময় মুখে ঘা হলে সারাতে কী করবেন?

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মুখের ঘা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। ভিটামিনের ঘাটতি থেকে শুরু করে ক্যানসারের লক্ষণও কিন্তুহতে পারে মুখে ঘা বা মাউথ আলসারের লক্ষণ। সাধারণত মুখের ভেতরের ত্বকের আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টির মাধ্যমে মাউথ আলসার বা মুখের ঘা শুরু হয়। একটি ক্ষত থেকে পুরো মুখেই ছোট ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে ব্যথা ও যন্ত্রণা বাড়ে। বিভিন্ন কারণে মুখে ঘা হতে পারে যেমন- মুখের হঠাৎ কামড় লাগা, টুথব্রাশের আঘাত, শক্ত খাবার খাওয়ার সময় ঘর্ষণ, ভিটামিনের অভাব, দাঁত খোঁচানো, ঘুমের অভাব ও মানসিক চাপের কারণে মাউথ আলসার হয়।
আবার শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহারে অনেকটাই মুখের ক্ষত সেরে যায়। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-
পায়ে ব্যথা ও চুলকানি হতে পারে কঠিন যে রোগের লক্ষণ
মধু: ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসি পাতা: মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
লবণ পানি: মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
মুখে ঘা হলে যে নিয়ম অনুসরণ করা জরুরি-১.দাঁত ব্রাশ করার পরে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা। কারণ এর মধ্যেমে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয় ও মুখের হাইজিন বজায় থাকে। ২. লেবু, আনারস, টমেটো, কমলা বা এই ধরণের এসিডিক খাবার না খাওয়া, এগুলো ব্যথা বাড়ায়। ৩. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, আম, স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দই ইত্যাদি খাওয়া। ৪.শক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন, এগুলো মুখের ক্ষত বাড়িয়ে দিতে পারে। ৫. নরম ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন। ৬. ঠান্ডা তরল পান করুন বা শীতল কিছু যেমন এক টুকরা আইস মুখে নিয়ে চুষতে পারেন। ৭.প্রচুর পরিমান পানি পান করুন। ৮.গরম পানিতে লবণ ও বেকিং সোডা মিশিয়ে গার্গল করুন। ৮. অ্যালকোহল বা তামাক ও তামকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন, এগুলোও জ্বালা বাড়াতে পারে। সূত্র: ফেমিনা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com