মিয়ানমারের বন্দুকের গুলি যখন গায়ের উপর লাগছে, ঘরের কাছে পড়ছে, এটা খুব ভালো লক্ষণ নয়। বাংলাদেশের সীমান্তে বলে মিয়ানমারে সৃষ্ট সংকটের জন্য আমরা বহুলভাবে সাফার করবো। গত শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন মন্তব্য করেছেন। ড. ইউনূস মনে করেন, এটা একটা ব্যাপক বিষয়, বড় বিষয়। শুধু রোহিঙ্গা না, পুরো বার্মা বা পুরো মিয়ানমারই একটা জটিল জিনিস। বাংলাদেশের সীমান্তে বলে এটার জন্য আমরা বহুলভাবে সাফার করবো।”
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন ড. ইউনুস, এখন থেকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কিভাবে এটার নিষ্পত্তি করতে পারি। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করেন এগুলো সমাধানের জন্য…সেই উদ্যোগটা আমাদের নিতে হবে। আমরা শুধু দর্শক হিসেবে থেকে গেলে হবে না। আমাদের একটিভ একশনে যেতে হবে।” ঘরের কাছে এসে বন্দুকের গুলি যখন আমাদের গায়ের উপর লাগছে, আমাদের ঘরের কাছে পড়ছে, এটা খুব ভালো লক্ষণ না- এমন মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, কাজেই লক্ষণ থাকতে থাকতেই এটা সমাধানের জন্য যে পরিমাণ উদ্যোগের দরকার, সেই পরিমাণ উদ্যোগ আমাদের নিতে হবে।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার না থাকলে জাতি হিসেবে আমরা টিকে থাকবো না: আমি চারদিকে বিপদের মধ্যে আছি। এ অবস্থায় কথা না বলা নিজেকে রক্ষা করার একটা সুবিধা। যতো কথা কম বলা যায়, ততোই হয়তো ঝামেলার হাত থেকে বাঁচবো। ১২ তারিখে আমাদের অফিস দখল নিতে গেলো। আমরা পুলিশের কাছে গেলাম। পুলিশ বললো, আমরা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারবো না।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে মুখোমুখি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এমন মন্তব্য করেছেন।
সম্প্রতি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে দেশের সবাইকে এক কণ্ঠে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এই বক্তব্য ব্যখ্যা করার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, আমরা কেউই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে না এটা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া। আমরা সবাই গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, ন্যায়-নীতির পক্ষে। এগুলো না থাকলে জাতি হিসেবে আমরা টিকে থাকবো না। গণতন্ত্রের কথা সবাই এখন মুখ খুলে বলতে পারছে না।
বিভিন্ন সময় নিজেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতিবাচক মন্তব্যের কারণ হিসেবে ড. ইউনূস বলেন, আমার মনে হয়, উনি মনে করেন যে আমি দেশের সর্বোচ্চ ডাকু, সন্ত্রাসী কিংবা অপরাধী; আমি সেরা চোর। উনি বলেন যে, আমি সুদখোর, আমি ঘুষখোর। এমনসব কটু শব্দ ব্যবহার করেন যাতে মনে হয় যে আমার সম্পর্কে তার ধারণা খুবই খারাপ।