রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আলাইকুমারী খালটি পুন:খনন করার কারনে কমপক্ষে পাঁচশত হেক্টর জমি বর্ষা মৌষুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়েছেন একই সাথে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় মাছ চাষের উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই খালটি পুন:খনন করার কারনে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা না হওয়ার কারনে হাজার হাজার শতক জমি এক ফসলি থেকে দ্বি-ফসলি কোন কোন জমি তিন ফসলি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয় হাঁস চাষ করা যাচ্ছে। দেশী মাছ এখন পওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। তবে খালটি যদি আরোও একটু খনন করা হত তাহলে আরোও ভালো হইতো আমাদের। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আলাইকুমারী খালটি নতুন করে খনন করার কারনে ওই এলাকার কমপেক্ষে পাঁচশত হেক্টর জমি র্বষা মৌসুমে জলাবদ্ধা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর আগে ওই সব এলাকাতে বছরে শুধুমাত্র একবার ফসল আবাদ করা সম্ভব হত এখন বছরে দুই অথবা তিনবার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন: এর ফলে এলাকায় ব্যাপকভাবে দেশীয় মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আমরা চেষ্টা করবো আলাইকুমারী খালটিতে দেশীয় মাছ উৎপাদন করার। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো: মনিরুল ইসলাম বলেন: এ খাল টি পুন:খনন করার কারনে বার্ষা মৌসুমে যেমন জলাবদ্ধতা নিরসন করে অন্যদিকে সুষ্ক সময়ে পানিধরে রেখে সেচ কাজে সুবিধা হবে, এতে করে হাজার কূষক উপকূত হবে। অন্য দিকে খালের পানিতে হাঁস চাষ করে বেকার যুবকরা সাবলম্বী হবে পাশাপাশি মাছ চাষ করে আমিশের চাহিদাও পূরণ হবে। অন্যদিকে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমে বূষ্টি পানি ধরে রাখতে সাহায্য করবে উক্ত খাল। আমরা ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প -২য় পর্যায় এর মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করেছি। এটি বাস্তবায়ন করেছেন নাগদাহ আলাইকুমারী পীবসস লি: উপ-প্রকল্পের নাম ও এসপি নং-নাগদাহ আলাইকুমারী,এসপি নং-১২০৩৫ মোট ছয়শত বিশ হেক্টর জমি উপকৃত এলাকা চারশত আশি হেক্টর মোট পাঁচটি গ্রাম রয়েছে এখানে। গ্রাম গুলো হলো: মনুরছড়া, মহিষমুড়ি, চালুনিয়া, রামচন্দ্রপাড়া, কিসমতালা। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক লিটন বলেন, খালটি খনন করার কারনে ওই এলাকার আশে-পাশির জমিগুলো এখন এক ফসলি থেকে দু-তিন ফসলি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, আলাইকুমারী খাল খনন করার কারনে ওই এলাকার আশে-পাশের জমিগুলোতে এখন দুই এবং তিন ফসলী আবাদ করা সম্ভব এছাড়াও দেশীয় মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।