বসন্তকালেই গাছে সজনে ফুল ধরে। আবার এই মৌসুমে ভাইরাসঘটিত রোগ বাড়ে বলেই বোধ হয় প্রকৃতিও নিজের মতো করে তার সমাধান সূত্র প্রাকৃতিক জিনিসে দিয়ে রাখে। তাই বসন্তকালে সজনে ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ভিটামিন সি, এ, বি৬, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রনের মতো খনিজে ভরপুর সজনে ফুল। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে কীভাবে খাবেন সজনে ফুল, চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট: কোয়েরসিটিন ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে সজনে ফুলে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
প্রদাহনাশক: শরীরে যে কোনো ধরনের প্রদাহনাশ করতে সাহায্য করে সজনে ফুল। বাতের ব্যথা থেকে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, সবেতেই কাজ করে এই সজনের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য মহৌষধ সজনে ফুল। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন, ক্ষরণ ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই সজনে ফুল।
কীভাবে খাবেন সজনে ফুল?
উপকরণ: ১. সজনে ফুল ১ কাপ ২. ছোট করে কাটা আলু ১ কাপ ৩. টমেটো কুচি আধা কাপ ৪. আস্ত সরিষা ১ চা চামচ ৫. পোস্ত ২ চা চামচ ৬. গোলমরিচ ৪-৫টি ৭. রসুন কুচি ১ চামচ ও ৮. কাঁচা মরিচ ২টি।
পদ্ধতি: প্রথমে সজনে ফুলগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এবার হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে ফুলগুলো ভিজিয়ে রাখুন। মিক্সিতে সরিষা, পোস্ত, গোলমরিচ ও মরিচ বেটে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তার মধ্যে রসুন কুচি দিয়ে দিন। একটু ভাজা হলে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করুন। আলু ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে দিন টমেটো কুচি ও লবণ। আধা কাপ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না হতে দিন। একেবারে শেষে সজনে ফুলগুলো দিয়ে দিন। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।