ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের গোমরাইল গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মনিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে পুজামন্দির পর্যন্ত ও একই পাড়ার আয়নাল হোসেনের বাড়ি থেকে আনন্দ দত্তের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ও রাবিশ বালু দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, রাস্তাটিতে মাটি খনন করে রাবিশ বালু দেওয়া হয়েছে এবং অত্যান্ত নিম্নমানের খোয়া সাববেজে দেওয়া হয়েছে। ইটের খোয়া হিসেবে যা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে দেখা যায় দুই, তিন নম্বর ও ভাটার পরিত্যক্ত ভাঙ্গাচোরা নিম্নমানের ইট। এ নিয়ে গোমরাইল এলাকা জুড়ে রাস্তা দুইটির নির্মাণ কাজের মান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। গোমরাইল পশ্চিমপাড়ার জনসাধারন বলছেন ‘রাস্তাটিতে নিচের স্তরে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম মাটিযুক্ত বালু ফেলা হয়েছে।আর উপরে দুই, তিন নম্বর ও ভাটার পরিত্যক্ত ভাঙ্গাচোরা ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষ ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান, রাস্তা পাকা করার কাজে পিকেট ও ১ নাম্বার ইটের খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও নিম্নমানের ইট দিয়ে দায় সারা কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশংকা করছেন রাস্তার কাজে এ ধরনের নিম্নমানের ইট খোয়ার ব্যবহার করলে রাস্তাটি টেকসই হবে না। তাদের দাবি ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে যেন রাস্তাটি তৈরি করা হয়। রায়গ্রাম ইউনিয়নের এ দুটি রাস্তায় যে নিম্নমানের বালি,ইট, খোয়া ব্যাবহার হচ্ছে তা নাকি এলাকার মানুষ কোনদিন দেখতে পায়নি। এতে রাস্তার মান নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ তুললেও মিলছে না প্রতিকার। ৩/৪ নম্বর ইট খোয়া ব্যবহার করলেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় হলুদ বর্ণের খোয়া ব্যবহার করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেনো দেখেও দেখছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ সকলকে ম্যানেজ করেই এ দুই রাস্তার নির্মাণ কাজ করছে। এ দু,টি রাস্তা প্রায় এক কিলোমিটার নির্মান কাজ চলছে কিন্তু রাস্তাটিতে সকল স্থানে সঠিক মাফ হবার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় কম করেছে। সরকারি টাকা শুধু লুটেপুটে খেতেই নিম্নমানের মালামাল দিয়ে রাস্তাটির কাজ করছে। গ্রামবাসি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিম্নমানের বালি, ইট, খোয়ার ব্যাপারে জানালে, তিনি বলেন এখন এভাবে রাস্তা তৈরি হয়ে যাক পরে পিচের রাস্তা করে দেবো বলেও প্রতিশ্রুত দেন। এ রাস্তা দুটি দিয়ে গ্রামের কৃষকরা তাদের মাঠের ফসল গরু গাড়ি ও প্ওায়ার ট্রিলারে আনা নেওয়া করে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার প্রতি বছর টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্ট রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ রাস্তায় নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙ্গে যাবে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েবে এসব রাস্ত। ফলে সরকারি বরাদ্ধে অবমূল্যায়নের ফলে দূর্ভোগের শিকার হতে হবে এলাকাবাসীদের। প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপরি মহলের সুদৃষ্টি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।