শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা ষড়যন্ত্রের স্বীকার স্বরূপকাঠির সন্তান মোঃ আবু ইউসুফ সৈকত

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

সৎ সঙ্গে সৎ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি মাসে ঢাকার একটি খাবারের হোটেলে ঘটে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।ঘটনার অন্তরালে খল নায়ক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার কৃত্তি সন্তান মোঃ আবু ইউসুফ সৈকত। শিক্ষিত পরিবারের শিক্ষিত সন্তান মোঃ আবু ইউসুফ সৈকত।বন্ধু মহলের মোহে পড়ে আজ অস্ত্র মামলার আসামি হয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। অথচ সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলে আসছিল বিগত সময় থেকে। সৈকত শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকুরী না করে বাবার পরিশ্রমের নগত অর্থ দিয়ে শুরু করেন ব্যাবসা। কিন্তু বয়সে পরিপক্বতার অভাবে ব্যাবসার হিসাব নিকাশ বুঝে ওঠার আগেই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় আবু ইউসুফ সৈকত। মনের অবস্থা আহমরি ভালো ছিল না গত কয়েক মাস ধরে। আর সেই কারণে মনের পরিবর্তন এবং খোশমেজাজে থাকার জন্য বন্ধু মহলের অনুরোধে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার প্ল্যান করেন।আর সেই প্ল্যান অনুযায়ী বন্ধু মহলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে পৌর সভার বাসা থেকে বের হয়ে যায় বাবার অনুমতি নিয়ে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য। অথচ বন্ধু মহলের কিছু কিছু বন্ধু ছিল অতিলোভী।কোন কিছু আচ করার আগেই সৈকতের জীবনে নেমে আসে কলঙ্কের দাগ। বিনা দোষে দোষী হয়ে আইনের কাঠগড়ায়। বন্ধু মহল ভ্রমণের নামে এক ধরনের চালাকি করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সূত্র ধরেই সৈকতের সাথে এক ধরনের বেঈমানী করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে সৈকতের পরিবার থেকে। বন্ধু মহলের বেশ কয়েকজন বিগত বছরগুলোতে চরম নিন্দিত ও বিতর্কিত ছিল। সরলতার কারণে সৈকত অস্ত্রের বিষয়ে আহমরি কিছুই জানতো না। ঘটনা চক্রে অস্ত্র মামলার চার নম্বর আসামি হয়ে গ্রেফতার হয়।ঘটনার সূত্র অনুযায়ী ঘটনার সময় সৈকত সহ সকলেই একটা হোটেলে দুপুরে খাবার খাচ্ছিল। মুহুর্তের মধ্যে সেই সময়ে আইনের লোকজন জঅই এসে হোটেল ঘিরে ফেলে। এরপর সবাইকে জিজ্ঞাসা বাদ করার জন্য গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ঘটনা চক্রে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে আবু ইউসুফ সৈকত। ঘটনার পর পর-ই বহু আলোচনা সহ নানান কায়দায় জিজ্ঞাসা বাদ করেন। একপর্যায়ে অস্ত্র মামলার আসামি হয়ে গ্রেফতার আবু ইউসুফ সৈকত সহ আরও পাঁচ জন। স্বরূপকাঠি উপজেলার তিনজন আসামি হয়। আর সেই সূত্র ধরেই ইলেকট্রনিকস মিডিয়া এটিএন বাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ জেনে যায় সৈকত অস্ত্র মামলার আসামি। অথচ বাস্তব চিত্র পুরোপুরি উল্টো। আর সেই সূত্র ধরেই গণ মাধ্যম কর্মীদের বিশেষ একটা টিম সরেজমিনে অনুসন্ধানে নামেন আসল ঘটনা উদঘাটন করার নিমিত্তে। ঘটনার নেপথ্যে অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসে অনুসন্ধানে। সৈকত যথা নিয়মে রবিবার স্বরূপকাঠি থেকে রওনা হয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। সোমবার ঢাকায় ঘটে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দুপুরে খাওয়ার সময় হটাৎ জঅই এসে অভিযান পরিচালনা করেন। আর সেই কারণে আকর্ষিক ভাবে মনের বিপর্যয় নেমে আসে আবু ইউসুফ সৈকতের মনে। কি অপরাধ কিংবা অস্ত্রের কেনাবেচার সাথে সম্পৃক্ত কিনা। কোন কিছু জিজ্ঞাসা বাদ আহমরি সময় দেয়নি। অথচ সমগ্র দেশবাসী জানলো আবু ইউসুফ সৈকত অস্ত্র মামলার চার নম্বর আসামি। বিচিত্র সেলুকাস আর বিচিত্র চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমাদের দেশের আইন কানুন চলছে। ভুল তথ্যের কারণে নিরীহ মানুষ অনেক সময় বিনা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে সাজা ভোগ করতে হয়। অথচ প্রশাসনের ভুলের খেশারাতের শাস্তির বিধান নিয়েও মানবাধিকার সংগঠন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক ভাবেই যাচাই বাছাই করে মামলার আসামি করা দরকার। নইলে একটা ভুলের কারণে ব্যাক্তি কিংবা একটা পরিবার শেষ হয়ে যায়। বিনা দোষে দোষী হয়ে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।পরবর্তী সময়ে আইনের মারপ্যাচে পড়ে যুদ্ধ করতে করতে হিমশিম খেতে হয়। জীবনের শেষ সময়ে বেকসুর খালাস হয় কিন্তু জীবন যৌবনের সুন্দর জীবন খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের বেশির লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আইনের সুশাসন নিশ্চিত করার আগে ভাগেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা দরকার। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক। কিন্তু নিরীহ মানুষ যেন বিনা কারণে অপরাধী না হয়।এদিকে আবু ইউসুফ সৈকতের বাবা দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার ছেলে নির্দোশ। মিথ্যা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য আবারও আমার ছেলের বিষয়ে অনুসন্ধান করা দরকার। প্রকৃত অপরাধীর কঠিন শাস্তি হোক। সর্বশেষ স্বরূপকাঠি উপজেলার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আবু ইউসুফ সৈকত একজন শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। বন্ধু বান্ধবের কারনে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের স্বীকার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com