আসন্ন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ভাইস-চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১ নম্বর জিনারী ইউনিয়নের কৃতী সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী আলহাজ্ব আলমগীর কবির সোহাগ। তিনি জনগণের সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত উপজেলা বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালনে সচেষ্ট হবেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সোহাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ(অনার্স)সহ দর্শন শাস্ত্রে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গফরগাঁও ইসলামীয়া সরকারি স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১৯৯০-১৯৯২), গফরগাঁও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক (১৯৯৩-১৯৯৫), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক (১৯৯৬-১৯৯৯),ঢাকার লালবাগ থানা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য (২০০০-২০০৫), আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হোসেনপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক (২০০৬-২০১৭), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ‘কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে’র নির্বাহী সদস্য (২০১৮-২০২০) এবং ২০২১ সাল থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ‘কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে আসছেন। বহু গুণে গুণান্বিত কৃতী ওই রাজনীতিবিদ একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার পূর্বপুরুষেরা জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। জনপ্রতিনিধিত্বকারী পরিবারের একজন সুপরিচিত সন্তান আমি। ইতিপূর্বে আমার দুই দাদা একই পরিবার থেকে তৎকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। আমার পিতা ছাত্র অবস্থায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন পরিষদেও জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। এ উপজেলায় জনসেবায় আমাদের পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। আমার শরীরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। যেহেতু আমি জনসেবক পরিবারের একজন সন্তান, তাই আমার মনে সব সময় এ জিনিসটাই বেশি কাজ করে আমার জীবদ্দশায় জনগণের সেবা করে যাওয়া।” তিনি আরো জানান, ‘আমি ২০১১ সনে জিনারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদে যখন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন শুরু হয়, তখনও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য চেষ্টা করি। ২০২১ সনেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করি। যা হোসেনপুর উপজেলার আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। এখনে ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেনপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। আমার মত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো দায়িত্বশীল পদে থাকে, তাহলে সেখানে জনগণ শতভাগ উপকার পাবে। তরুণ প্রজন্মের উদেশ্য করে তিনি আরো বলেন,’মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেকোনো খারাপ কাজের বিরোধিতা এবং ভালো কাজের প্রশংসা করে জনগণকে সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে উপজেলাকে এগিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন ২০৪১ ও এসডিজি বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা। সর্বোপরি সার্বক্ষণিক ও সর্বাবস্থায় জনগণের পাশে থেকে তাদের সুখে-দুখের সাথী হয়ে একসাথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি আসন্ন হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।