ভৈরবের পাইকারী ফল ব্যবসায়ীরা আধিক লাভের আশায় তরমুজ আমদানী করে লোকসানের মুখে পড়েছে। এখন তারা লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনছে। ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সততা এন্টারপ্রাইজ মালিক মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান- ভৈরবে তরমুজ আমদানী অনুযায়ী বিক্রি কম হওয়ায় পুজিঁ হারাচ্ছি। ২/৩ দিন ধরে সামান্য কিছু তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে গাউছিয়া ফল ভান্ডারের মালিক মোঃ আঃ করিম মিয়া বলেন- প্রতিটি তরমুজে ১শ থেকে ১২০ টাকা লোকসান হচ্ছে। এ বছর কৃষক তরমুজের দাম পেয়েছে কিন্তু আমরা বেশী দামে কিনে লোকসান গুনছি। ২ হাজার পিস তরমুজের ট্রাক ভাড়া পড়ছে ৭০ হাজার টাকা। বরিশাল থেকে ভৈরব পযর্ন্ত ট্রাক ভাড়া ছাড়াও আরো খরচ বহন করে কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। বড় আকারের প্রতিটি তরমুজ ৩শ ৫০ টাকা এবং মাঝারি সাইজের ২শ থেকে ২শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে। আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে। খুচরা দোকানী রুস্তম জানান- বড় আকারের প্রতিটি তরমুজ ৫শ টাকা পযর্ন্ত বিক্রি করছি। মাঝারি সাইজের ১টি তরমুজ ৩শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপর দোকানদার সাব্বির বলেন, ৮/১০ কেজি ওজনের তরমুজ ৪শ থেকে ৫শ টাকায় ক্রেতারা কিনছে। ভৈরব ফল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিব রায়হান জানান-ভৈরবের ১৫/১৬ টি আড়ৎ মালিকরা প্রায় ১ লাখ পিস তরমুজ নিয়ে বিপাকে। প্রতি ট্রাক তরমুজে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় লোকসানে পড়েছে আড়ৎ মালিকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর ট্রাস ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ এবং ক্ষেত থেকে প্রতি পিস তরমুজ ১শ টাকা বেশি দরে কেনার ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানে।