রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

সোনাগাজীতে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ না হয়েও নিরবে সমাজসেবা করে যাচ্ছেন বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

সোনাগাজীতে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ না হয়েও নিরবে সমাজ সেবা করে যাচ্ছেন বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী। তিনি মতিগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় ধরে নিরবে সমাজ সেবার কারণে সকলের কাছে বেলু মুহুরী হিসেবে পরিচিত। প্রচার বিমূখ নিরব এ সমাজ সেবক দলমত নির্বিশেষে সবার প্রিয়জন হিসেবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। দুর্যোগ-দূর্বিপাকে, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও অসহায় মানুষদের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত এ মানুষটি সকলের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চান। একজন সফল ব্যবসায়ীও তিনি। নিরবে অকাতরে দানও করেন তিনি। সমাজ সেবার পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষ হিসেবেও পরিচিত তিনি। কারো উপর জুলুম নির্যাতনের খবর পেলে ছুটে গিয়ে নির্যাতিত নিষ্পেষিত মানুষদের পাশে দাঁড়ান তিনি। জুলুমবাজ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকারও হন তিনি। তারপরও কোমল মনের এ মানুষটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকে পিছপা হননা। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নির্যাতিত মানুষদের দুখের সারথী হন তিনি। একজন ধর্মভীরু মুসলমান হিসেবেও ইসলাম ধর্মের রিতি অনুযায়ী ধর্মকর্ম পালন করেন তিনি। স্বজন, প্রতিবেশী সর্বোপুরি ফেনী জেলার সর্বস্তরের মানুষদের জন্য সেবা করে মরতে চান তিনি। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এ বিশ্বাস টুকু বুকে ধারণ করেই নিরবে সমাজ সেবা করে যাচ্ছেন বেলু মুহুরী। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে শিখেননি। আর অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার কারণে অনেক সময় প্রভাবশালী দুর্বৃত্তের রক্ত চক্ষু ও ষড়যন্ত্র্রর শিকার হতে হয়েছে তাকে। তারপরও তার ব্যক্তিগত নীতি এবং আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। কখনো কোন ষড়যন্ত্রকারী আর দুর্বৃত্তের কাছে মাথা নত করেননি। ছোট বেলা থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সরলমনা এ মানুষটি তিন সন্তানের জনক। এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের সফল পিতা তিনি। এক ছেলে প্রবাসী ও অপর ছেলে সফল ব্যবসায়ী।
পরিবার-পরিজন, স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছে দক্ষ ও গর্বিত সমাজ সেবক হিসেবে সবার কাছে তিনি পরম শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন। সদালাপি ও বিনয়ী মানুষ হিসবে তিনি সবার কাছে আত্মার আত্মীয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জনতার এ সেবক। তিনি হতে চাননা কোন জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিবিদ। তিনি মনে করেন রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্বে বাইরে তিনি একজন মানুষ। রাজনৈতিক সংকির্ণতার উর্ধ্বে ওঠে তিনি মানবতার জয়গান গান। তিনি একজন সফল মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেন তিনি। যেখানে মানবতা ভুলুন্ঠিত হয়, সেখানে ত্রাণ কর্তা হিসেবে আত্মমানবতার সেবক এ মানুষটি মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। যথাসাধ্য মানুষদের মাঝে নিরবে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন তিনি। তিনি ন্বপ্ন বুনেন মানব সেবার। আর আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে গর্বিত মনেও করেন তিনি। তিনি আমৃত্যু মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান। সমাজ সেবা করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়ে কখনো কখনো তার বিরুদ্ধে চালানো হয় ভিত্তিহীস অপপ্রচার। এসব অপপ্রচার আর গুজবে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে রয়েছে তার অঘাধ জ্ঞানের গভীরতা। ভূমি বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ মানুষ হিসেবে জটিল বিষয়ে সঠিক পরামর্শের জন্য তার কাছে ছুটে আসেন অনেক মানুষ। সুপরামর্শ ও সঠিক নির্দেশনা দিয়ে মানুষদের হয়রানি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেন তিনি। গ্রাম্য সালিশ বিচারেও বিচার প্রার্থীদের আস্থার মানুষ হিসেবে বেলু মহুরীর বেশ সুনাম রয়েছে। মানুষ সামাজিক জীব। আদিম যুগ থেকে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে জীবন ধারণ করে আসছে। বর্তমান আধুনিক তথ্য, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগেও সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায় বিচারে সমাজপতি তথা সলিশদারদের ভূমিকা অপরীসিম। যেসব সমাজপতি ও সালিশদারগণ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন তারাই সাধারণ মানুষদের জন্য আস্থার প্রতীক হয়ে থাকেন। বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরীকে একজন সমাজ সংস্কারকও বলা চলে। যুগের পর যুগ ঘুনে ধরা এ সমাজকে জঞ্জালমুক্ত করতে নিরন্তর লড়াই সংগ্রাম করছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন দুর্বুত্তয়নের আগ্রাসন মুক্ত একটি শান্তির সমাজ। যে সমাজে মানুষে মানুষে থাকবেনা কোন ভেদাভেদ। আইনের চোখে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের এ অগ্রদূতের দর্ঘায়ূ ও সফলতা কামনা করেছেন অসংখ্য মানুষ। কথা হয়েছে মহেশ্চর গ্রামের শামীম মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন বেলু মুহুরীর মত নিরব সমাজসেবকরা সমাজে বেঁচে আছেন বলে এ সমাজের মানুষগুলো আজও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন। তার মত প্রতিবাদী ও দক্ষ সমাজ সেবক আছে বলেই বহু মানুষ প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সেবা পাচ্ছেন। পালগিরি গ্রামের মো. শাহীন বলেন, আমরা বেলু মুহুরীকে একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ সমাজ সেবক হিসেবে চিনি ও জানি। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিরন্তর থাকবে। দৌলতকান্দি গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, বেলু মুহুরী আমার জীবনে অনেক উপকার করেছেন। বর্তমান যুগে বিপদে পড়লে কেউ কারো পাশে থাকেনা। যখনি কোন বিপদে পড়েছি, একজন বিপদগ্রস্ত মানুষ হিসেবে বেলু মুহুরীকে আমি পাশে পেয়েছি। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী নামের এক সমাজ সেবকের নাম শুনেছি। তাদের মত সমাজ সেবকরা বেঁচে আছেন বলে অনেক অসহায় মানুষ সেবা পায়। সহকারি পুলিশ সুপার সোনাগাজী-দাগনভূঞা (সার্কেল) তসলিম হুসাইন বলেন, বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী নামের একজন সমাজ সেবকের নাম শুনেছি। স্থানীয় মানুষদের নাকি নিরবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সোনাগাজী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম অনিক চৌধুরী বলেন, বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী নামের একজন সমাজ সেবকের নাম শুনেছি। তিনি না কি নিরবে সমাজ সেবা করে যাচ্ছেন। মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজ সেবকদের কাছে কাঙ্খিত সেবা প্রত্যাশা করেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, বেলায়েত হোসেন বেলু মুহুরী নামের এক সমাজ সেবকের নাম শুনেছি।
তার কথা অনেকেই আমাদের কাছে সুনাম করেন। ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, বেলু মুহুরী করোনা মহামারিতেও ত্রাণ কর্তা হিসেবে পরিবারের পক্ষ থেকে অকাতরে মানুষদের দান করেছেন। সৈয়দপুর গ্রামের আবুল কাসেম বলেন, সবার প্রিয় বেলু মুহুরী একজন প্রকৃত সমাজ সেবক। তাকে আমরা আপদে বিপদে পাশে পাই। ভাদাদিয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেন বলেন, সমাজ সেবক বেলু মুহুরী সমাজ সেবার পাশাপাশি অন্যায়-অবিচারে বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী মানুষ। তিনি ভূমি দস্যুদের চক্ষুশূল হতে পারেন। তিনি একজন ভূমি বিশারদ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত মুখ। দৌলতকান্দি গ্রামের মাস্টার আব্দুল হক বলেন, বেলু মুহুরীর মত মাজসেবকরা আছেন বলে সমাজগুলো টিকে আছে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বেলু মুহুরী নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com