আবারো টালমাটাল পাকিস্তান ক্রিকেট। আগুন লেগেছে সুখের সংসারে। যার মূল হোতা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নেতৃত্ব নিয়ে তাদের টালবাহানা আর বানোয়াট বিবৃতি পরিস্থিতি করে তুলেছে ঘোলাটে। শাহিন আফ্রিদি আর পিসিবি যেন মুখোমুখি অবস্থানে।
ঘটনার সূত্রপাত গত রোববার। বিশ্বকাপের পর বোর্ডের চাপে অধিনায়কত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন বাবর আজম। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয় শাহিন আফ্রিদিকে। কিন্তু এক সিরিজ যেতে না যেতেই তাকে সরিয়ে দেয় পিসিবি। গতকাল আবার সাদা বলের নেতৃত্ব তুলে দেয় বাবরের হাতে।
রোববার এই খবর প্রকাশের সময় শাহিন আফ্রিদির একটা বিবৃতিও জুড়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে তার পক্ষ থেকে বাবর আজমকে শুভ কামনা ও অভিনন্দন বার্তাও দেয়া হয়েছিল।
যেখানে লেখা ছিল, ‘পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে পারাটা চূড়ান্ত সম্মানের ব্যাপার। সব সময়ই এ স্মৃতি ও সুযোগ লালন করে যাব। দলের খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক বাবর আজমকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য। আমি তার নেতৃত্বে খেলেছি এবং তার প্রতি আমার শুধুই শ্রদ্ধা রয়েছে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমি তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক। আমাদের লক্ষ্যও একটাই, পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল বানানো।’
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। তবে পিসিবির এই বিবৃতি নিয়েই জন্ম হয়েছে মহানাটকীয়তার। ক্রিকইনফো বলছে, ‘আফ্রিদি নাকি ওই বিবৃতি দেনইনি। তা সম্পূর্ণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বানোয়াট বক্তব্য। এমনকি এই বিষয়ে না কি তার সাথে কথাও বলেনি বোর্ড!’.
তার হয়ে ভুয়া বিবৃতি দেয়ায় ক্ষেপেছেন সাবেক অধিনায়ক। পাল্টা একটি বিবৃতিও না কি দিতে চেয়েছিলেন। পিসিবি দ্রুত এমন বিপর্যয় আটকেছে এবং ক্ষিপ্ত আফ্রিদিকে সামলাতে আজ পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিও বসবেন তার সাথে। ক্রিকইনফো বলছে, যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, তাতে আফ্রিদি খুশি নন মোটেও। তাকে বিবৃতি দেয়ার কথাও বলেনি পিসিবি। তবে ঠিকই তার কথা হিসেবে ওপরের বিবৃতিটি চালিয়ে দেয়া হয়েছে, যা দলের মাঝে সৃষ্টি করেছে অস্থিতিশীলতা। দলের সেরা বোলার আর ব্যাটারের মাঝে দেখা দিতে পারে বড় ভাঙন!