ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। কখনো ব্যক্তিগত, কখনো পেশাগত— কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর কাজে ফিরেছেন পরীমণি। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পুত্রকে বড় করছেন। ‘ফেলু বক্সী’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিষেক হতে যাচ্ছে পরীমণির। এ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবন ও কাজ নিয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় তিনি জানান, লোকে তাকে ‘বেয়াদব’ তকমা দিয়েছেন। আর তিনিও বেয়াদবই থাকতে চান।
কথোপকথনে স ালক জানতে চান, বাংলাদেশের সমাজ রক্ষণশীল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাউকে পরোয়া না করার সাহস কোথায় পান? জবাবে পরীমণি বলেন, ‘সবাই কারো না কারো কথা শুনে কাজ করে। কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে তো একটা বস্তু আছে। তাই বলে কারো ক্ষতি করে কিছু করতে চাই না। আমাকে ঘোমটা দিয়ে চলতে হবে কিংবা মেয়ে বলে কোনো কাজ করতে পারব না। এ ধরনের চাপিয়ে দেওয়া জিনিস ছোটবেলা থেকে মেনে নিতে পারিনি। আমি যখন এগুলো নিয়ে কথা বলি, লোকে ‘বেয়াদব’ বলে। আমি আসলে এ রকম বেয়াদব হতে চাই, এ রকমই বেয়াদব থাকতে চাই। যদি নিজের মতো করে বাঁচতে চাইলে বেয়াদব হতে হয়, আমার অসুবিধে নেই।’ পরীমণি বিতর্কিত, না কি সমালোচিত? এ প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি বলেন, ‘আসলে লোকে আমাকে প্রচ- ভুল বোঝে। আমাকে নিয়ে যা কিছু লেখা হয়, সে সব দেখে নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই— এটা কোন পরীমণি! আমার সম্পর্কে আমি এত উদ্ভট তথ্য পাই, ভাবি, এটা কি আমাকে নিয়ে বলছে?’ পরীমণিকে নিয়ে কোন বিষয়ে ভুল বোঝে? জবাবে পরীমণি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে ভুল ধারণা আছে, সেটা হলো, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকে বলে, পরীমণির অনেক প্রেমিক, অনেকগুলো বর। কিন্তু আমি জানতে চাই, তারা কোথায়? আমি নিজেও কথা বলতে গেলে বিব্রত বোধ করি। যারা পরীমণিকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ান, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন পরীমণি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে একটা ধারণা ছিল, বিতর্কিত কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে না। কিন্তু আমার মনে হয়, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে, সে ব্যাপারে বেশি কথা বলা প্রয়োজন। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নেব।’