বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে যখন দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে তখন জনগণের দৃষ্টিকে অন্যত্র সরানোর জন্যই ‘ডামি’ সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। দেশে আওয়ামী শাসন কায়েমের জন্যই আইনের শাসনকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ‘রোববার রাতে ঠাকুরগাঁও জেলাধীন হরিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. আকরাম হোসেন পুলিশি নিষ্ঠুর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করে। পুলিশ কতৃর্ক আকরাম হোসেনকে পৈশাচিক, নির্দয় ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে, এ বিবৃতি দেন ফখরুল। তিনি বলেন, আকরাম হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই হত্যায় উৎসাহী একটি রাজনৈতিক দল। এরা শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেনি, গণতন্ত্রকামী মানুষকে এখন বেছে বেছে হত্যা করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে অরক্ষিত রেখে এরা বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজানেও আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী রক্ত ঝরানোর নিষ্ঠুর কাজ থেকে সরে আসছে না। তবে অবৈধ আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথের আন্দোলনে আছে এবং থাকবে। আকরাম হোসেনের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বলেন, পুলিশের কাষ্টডিতে নির্মম নির্যাতনে নিহত আকরাম হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উৎসবটি সারাবিশ্বে অনেক উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে উদযাপিত হয়। বিশ্ব মুসলিম একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়।
দিনটি পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, যেখানে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম বা রোজা পালন করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মূহুর্ত।
ফখরুল বলেন, ঈদ আমাদের মাঝে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, নিয়ে আসে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের মহা সুযোগ। ঈদুল ফিতরের উৎসব আমাদের পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগরিত করে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভুতি, মানবতা ও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা। কোন অসহায় ও দু:স্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।