বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারি যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর, সেখানে সাধারণ মানুষ ঈদের পোশাক কিভাবে কিনবে- এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল সোমবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধুর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে এখন দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারি যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর, সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একজন গামেন্ট শ্রমিক নিজের শিশু সন্তানের জন্য ফুটপাথ থেকে ফ্রক কিনতে পারেননি। চট্টগ্রামের ঈদ বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ কেনাকাটা কমেছে। এই পরিস্থিতি সারাদেশে। ঢাকাতে ধনীদের কেনাকাটা বাড়লেও নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা শাড়ী, লুঙ্গী, পাঞ্জাবী তাদের টার্গেটের অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ী ঈদের আগে বাকিতে কাপড় নিয়ে বিক্রি করার পর তার টাকা পরিশোধ করে। এখন তাদের কপালে হাত। আর আওয়ামী আমলে বিত্তশালী শ্রেণী মানেই টেন্টারবাজ, সিন্ডিকেটবাজ ব্যক্তিরা যারা ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট। রিজভী বলেন, এটা বাস্তব সত্য যে দুর্নীতির সাথে ক্ষমতার ওপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আনোয়ার পারভেজ বাদল এবং বিএনপি নেতা সাঈদ হোসেন সোহেল জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।