রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার পাওয়া গেল এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা

শফিকুল ইসলাম ফকির মতি কিশোরগঞ্জ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯ টি দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত ২৭ বস্তা টাকা গণনা করে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ  ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। সকাল ৭টা থেকে রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে গণনা। এটি এ যাবতকালের রেকর্ড পরিমাণ দান। গত প্রায় চার মাস আগের হিসাবের চেয়ে এবার ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ১১৪ টাকা বেশি পাওয়া গেছে। রাত পৌনে ২টার দিকে বিষয?টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ কর্পোরেট শাখার ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম। সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন। সিন্দুকের টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। ৯টি দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। দিনভর চলে গণনা। রাত পৌনে ২টার দিকে পাওয়া গেছে এ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। তখন তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয় টাকা গণনা কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক  সদস্য অংশ নেন। সিন্দুক ছাড়াও প্রতিদিন দান হিসেবে পাওয়া যায় কোরআন শরীফ, হাঁস, মোরগ, গরু, ছাগল, দুধসহ নানা সামগ্রি। এসব সামগ্রি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com