গাজীপুরের কালীগঞ্জে তীব্র গরমে মাঝে দিনের বেলা কৃষি কাজ করে রাত জেগে গরু পাহারা দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা খামারীর। প্রতিনিয়ত এমন গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন খামারীরা। খামারীর থাকার ঘরে বাহির থেকে সিটকারী আটকিয়ে রেখে সু-কৌশলে গরু চুরির সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের কুলথুন গ্রামের ফারুক খানের বাড়ীতে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক খামারী ফারুক খান বলেন- প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে গোয়াল ঘরে গরু রেখে রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে ঘরে গুমিয়ে পরি। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে হটাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি বাহির থেকে ঘরের চিটকারী আটকানো রয়েছে। পরে প্রতিবেশীকে ফোন করে ঘরের চিটকারী খুলে গোয়াল ঘরের কাছে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরের গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। আমার ২ টি গাভী যার আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকা। আমার সকল পুজি এই গরুর খামারে বিনিয়োগ করেছি। গরু চুরির ফলে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পরেছি। একাধিক ভুক্তভোগী খামারী বলেন- বর্তমান সময়ে গরু লালন-পালন করা অনেক কষ্টের ব্যাপার। সারাদিন কাজ করে রাত জেগে গরু পাহাড়া দিতে হয়। পুলিশের নিয়মিত টহল না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। আমরা অনেকই বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করেছি। গরুর দুধ ও গরু বিক্রি করে সাবলম্বী হওয়ার আশায়। এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে ঋণের বোঝায় দিশেহারা। তাই আইন শৃঙ্খলার সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ফারুক খান বলেন- জাংগালিয়া ইউনিয়নে গরু চুরির আতঙ্কে খামারীরা। উপজেলার এই এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি অত্র এলাকায় রাতে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করার। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম ইমাম রাজী টুলু বলেন- আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি গরু চুরি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।