চলমান তাপদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন বেঁকে গেছে। তবে বিষয়টি রেলওয়ের টহলরত কর্মচারিদের নজরে আসায় দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। বর্তমানে ওই রেলরুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস। এর আগে একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, চলমান তীব্র তাপদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পরে ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় ডাবল লাইনের অন্য একটি লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান। আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, চলমান তীব্র তাপদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে টহল ডিউটির পরামর্শ দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেল বাঁকা দেখতে পায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে অপেক্ষা রতে থাকে। পরে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ঘন্টাখানেক পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেনও ধীর গতিতে ওই বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।