অনাবৃষ্টির কারণে প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। নদী-খাল-বিল অন্যান্য জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে, মাঠে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, গাছপালা, উদ্ভিদ ও তৃণলতা জীর্ণ হয়ে যাচ্ছে, জীবজন্তু ও পশুপাখির কষ্টের সীমা নেই এমন বিপর্যয় থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকার নামাজ করেছেন জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নবাসী। অতীত গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতিভরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা জানানো হয়েছে ইসতিসকার নামাজের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (২মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী লাহিড়ীকান্দা ঈদ গা মাঠে অনুষ্ঠিত ইসতিসকার নামাজে এলাকার প্রায় সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি অংশগ্রহন করেন। ইসতিসকার নামাজে ইমামতি করেন লাহিড়ীকান্দা ঐতিহাসিক ঈদগা মাঠের খতিব হাফেজ মাওলানা সৈয়দ মুহাছিম বিল্লাহ। নামাজের খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে তাদের চোখের পানি ফেলে এক পশলা রহমতের বৃষ্টির জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন। ইসতিসকার নামাজের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাহিড়ীকান্দা ঈদগা মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল খায়ের খোকা মাষ্টার, মাহবুব-উল আলম মামুন প্রমুখ। নামাজে অংশ নেয়া কয়েকজন মুসল্লি জানান, প্রায় একমাস যাবৎ দিনের প্রচ- তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতে পারছেন না অনেক মানুষ। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। কয়েকজন মুসুল্লি বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টি না হওয়ায় আমাদের ক্ষেতের ধানের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।