পেঁপের কেজি ৮০ টাকা। সারা বছর ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। হুট করে গত সপ্তাহে ৫০ টাকায় কিনলাম। এখন ৮০ টাকা। একলাফে ৩০ টাকা বেড়ে গেলো? দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে? তার সঙ্গে কথা শেষে আবার ওই বিক্রেতা খালেক হোসেনের কাছে প্রতিবেদক পরিচয়ে দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভবত গরমের কারণে পেঁপের চাহিদা বেড়েছে আর অন্যান্য সবজির দামও বেশি। এর প্রভাব আছে। পটোল, ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।
তিনি আরও বলেন, গতরাতে বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচ- গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।
বাজার ঘুরেও দেখা গেছে তেমনই। ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪০-১৮০ টাকা, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পটোল আর ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, বাজারে নতুন করে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, যা ৬০-৬৫ টাকা ছিল। অন্যদিকে, বাজারে আদা, রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা আদা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা দরে। যা আগের চেয়ে ২০ টাকা কম। এছাড়া প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, যা ১৩০ টাকা ছিল।
এদিকে, ডিম ও মুরগির দাম কমা প্রসঙ্গে প্রন্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সভাপতি সুমন হালাদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রচ- গরমে ডিম পাড়া বা পরিণত বয়সের মুরগি হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছে বেশি। যে কারণে সবাই মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছে। যে মুরগি ৪০ দিন পালন করার কথা সেটা ৩০ দিনেই বিক্রি করে দিচ্ছে। অর্থাৎ অপরিপক্ব অবস্থাতেই মুরগি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাজারে মুরগির দাম অনেক কমে এসেছে। তিনি বলেন, গরমের কারণে ডিমও সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, যে কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়ে দাম কমেছে।