এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। মঙ্গলবার সকালে ভাটা ও দুপুর জোয়ারের সময় নদীর কয়েকটি পয়েন্টে নৌকা প্রতি ৬০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন। সংগ্রহকারীরা এটাকে নমুনা ডিম বলে উল্লেখ করলেও পরিবেশ পেলে রাতে পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে বলে জানান তারা।
তবে নদীতে জাল, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতেই অবস্থান করবেন কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে ডিম সংগ্রহকারীরা ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টার দিকে মদুনাঘাট ফাঁড়ির মুখে কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী অল্প পরিমান ডিম সংগ্রহ করে। খবর পেয়ে শতাধিক ডিম সংগ্রহ কারী নদীতে নামলেও আর পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে জোয়ারের সময় কাটাখালী মুখসহ কয়েকটি পয়েন্টে আবারো নমুনা ডিম পাওয়া যায়। তবে পরিমান সকালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারীদের মধ্যে , দুলাল জানান, যদি আজ (মঙ্গলবার) সোমবারের মত বজ্রসহ বৃষ্টি হয় উজানের পানি নামে তাহলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিতে পারে। এদিকে সকাল ৬ টার দিকে হালদানদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে জানায় হালদা গবেষক ড. মো.শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। নিউজটি করা অব্দি নদীতে হাটহাজারী ও রাউজানের কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী নদীতে ডিম সংগ্রহ করছেন। তবে ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম সংগ্রহের পর পাকা ও মাটির কুয়ায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে উৎপাদিত রেণুর পরিমানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। সরকারিভাবে হ্যাচারীর তথ্য পাওয়া গেলেও বেসরকারিভাবে সঠিক পরিমান পাওয়া যায় না। ডিম ও রেণুর পরিমান নির্ধারনকল্পে মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে যে তথ্য দেয়া হয় প্রকৃত ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্যের সাথে অমিল পাওয়া যায়। দেখা যায়, সরকারিভাবে হ্যাচারীর কুয়ার চেয়ে বেসরকারিভাবে মাটির কুয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। ডিম ও রেণুর পরিমান সঠিক নির্ধারনে অনেকেই কমিটিতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন।