বর্তমান সরকার শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে এই দেশটাকে দখল করে ফেলেছে। এখন জনগণের কথার কোন দাম নেই, এখন তাদের কথায় জনগণকে চলতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। জনগণের কথায় সে চলে না, তার কথায় জনগণকে চলতে বাধ্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের।
গতকাল শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান সময়ের মত এত বৈষম্য আর হয়নি। যারা সরকারি দল করে তারা সব ধরনের নিয়ম নীতির বাইরে। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে তারা। একটা শক্তিশালী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক দল বলে মনে হয় না। বৈষম্য সৃষ্টির জন্য কোন পুরস্কার থাকলে বাংলাদেশ নোবেল প্রাইজ পেতো।
তিনি বলেন, ব্যাবসা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই প্রথম প্রশ্ন আপনি সরকারি দলের সদস্য কিনা। দ্বিতীয় প্রশ্ন আপনার পরিবারের কেউ সরকারি দলের বাইরে অন্যকোনো দল করে কিনা। যে রাষ্ট্রের জন্য মানুষ জীবন দিলো সেই রাষ্ট্র আজ চলে গেছে একটি গোষ্ঠীর হাতে। যারা আওয়ামী লীগের বাইরে তারা অবাঞ্ছিত। অবস্থা এমন যেন, থাকলে দাস হিসেবে থাকেন, না থাকলে যান। কথা বলার অধিকার নেই কারো। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ১৩ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। হঠাৎ করে গত বছর ১৭ হাজার হয়ে গিয়েছিলো। তখন ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া ১০ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্লান্ট বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়া হয়নি। অথচ ২৭ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে। ব্যবহার করতে পারছেন না, তাহলে বানালেন কেন? প্রয়োজনের চেয়ে কিছু বেশি বানাতে পারেন। তারপরও তো লোডশেডিং আছে। ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ। বসিয়ে বসিয়ে পয়সা দেয়া হচ্ছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।