রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

ফটিকছড়িতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বশর নামে এক সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর!

আলমগীর নিশান (ফটিকছড়ি) চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পাইন্দং ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় ধারের টাকা চাওয়ায় এবং মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বশর নামে এক সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর করে টাকা-পয়সা চিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ মে রাতে উত্তর পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্প, পুরাতন ৮০ ঘরের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নতুন ৮০ ঘরের বাসিন্দা সিএনজি ড্রাইভার আবুল বশর বাদী হয়ে সোহেল, নয়ন, রুবেলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে ফটিকছড়ি থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, উত্তর পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্পের পুরাতন ৮০ ঘরের বাসিন্দা সোহেল ও নয়ন তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মদ,জুয়া, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে আসছে। সোহেলকে মানিকছড়ি ডলু এলাকা হতে মদসহ আটকও করে পুলিশে। পরে ৩০ হাজার টাকা বশরের কাছ থেকে হাওলাদ নিয়ে পুলিশকে দিয়ে ছাড়া পায় সোহেল? এদিকে বশরকে উলটো মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে মিডিয়ায় প্রচার করে সোহেল ও নয়ন গং। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে মারধর করায় বৈঠকে সোহেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার ২০ হাজার টাকাও বশরের কাছ থেকে হাওলাদ নেয় নয়ন। তার মধ্যে নয়ন ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। সোহেলের কাছে ৩০ হাজার ও নয়নের কাছে বাকী ৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তারা তাকে টাকা দেয়ার কথা বলে পুরাতন ৮০ ঘরের মাঠে যেতে বলে। বশর ওখানে গেলে তারা তাকে সেখানে মারধর করতে থাকে। বশর ত্রিপল নাইনে ফোন দিলে তারা ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে পেলে এবং সঙ্গে থাকা ৪০ হাজার টাকা চিনিয়ে নেয়। তার স্ত্রী রিনা আকতার তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও তারা কাপড়-চোপড় চিড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে মারধর করে তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও নাকফুল কেড়ে নেয়। পরেরদিন সিএনজি নিয়ে ঘর থেকে বের হলে প্রতিমধ্যে ইউনুছ সওদাগরের দোকানের সামনে বশরকে গাড়ী থেকে নামিয়ে মারধর করতে থাকে। এছাড়াও গাড়ী নিয়ে কোথাও বের হলে তাকে জানে মেরে পেলার হুমকি দিতে থাকে। বশর জানান, তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোন সময় সোহেল ও নয়ন গং তাকেও তার স্ত্রী-পুত্রকে মেরে ফেলতে পারে। তাই তিনি এই জন্য প্রশাসনের সু-দৃস্টি কামনা করেছেন। এদিকে এলাকাবাসীরা জানায়, বশর ছেলেটি সিএনজি চালিয়ে সংসার চালাই। মদ, জুয়া কেন কোন খারাপ কাজের সাথেই জড়িত নয় বশর। তার একটা দোষ সেই এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে? আর যারা তার জন্য এসব অবৈধ কাজ করতে সুবিধা করতে পারছে না তারাই তার পিছনে লেগে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সোহেল ও নয়নের কাছে জানতে চাইলে এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করে তারা বলেন, বশর নিজেই একজন মাদক ব্যবসায়ী। তারা উভয়েই বশরের মদ বিক্রি করত বলে জানান। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জানান, উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে। এদের উভয়ই খারাপ প্রকৃতির লোক বলেও জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com