যশোরের কেশবপুরে প্রভাবশালী একজন জনপ্রতিনিধির প্ররোচনায় নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, থানার ওসি জহিরুল আলম ও বিশিষ্ট ঘের ব্যাবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, কেশবপুর উপজেলার বলধালী বিলে আমার ৪ শত বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। ঐ এলাকার প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে আমি বিগত ৬ বছর যাবৎ মাছের ঘেরটি পরিচালনা করে আসছি। চলতি বছর ঘেরের ডিডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কৃষকরা পুনরায় ঘেরটি আগামী ৫ বছরের জন্য আমার নামে ডিট করে দেয়। যাতে ৩২০ বিঘা জমির মালিকের স্বাক্ষর রয়েছে। জমির হারি ৩৬ হাজার টাকা বিঘা প্রতি ধার্য করা আছে। যা বিগত ১ বৈশাখ থেকে কার্যকর রয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী উপজেলা ব্যাপী ঘের দখল, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজীর মহোৎসব শুরু হয়েছে। যাহা প্রতিরোধে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম সফলভাবে দমন কাজ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষ মধ্যকুল গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির প্ররোচনায় বিজ্ঞ আদালতে আমি সহ থানার ওসি জহিরুল আলম ও বিশিষ্ট ঘের ব্যাবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে। সংবাদ সংম্মেলনে তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন ব্যাস্ত থাকায় আমি থানায় কোন অভিযোগ করতে পারিনি। কিন্তু মধ্যকুল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বিজ্ঞ আদালতে যে অভিযোগ করেছে, সেখানে আমি ও ঘের ব্যাবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদের উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো বিষয়ে আদালতে যে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যা কেশবপুর থানার সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে জানা যাবে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির প্ররোচনায় ও তার নিকটাতœীয়দের মাধ্যমে উপজেলা ব্যাপী ঘের ভেড়ী জবরদখল, চাঁদাবাজী শুরু হয়েছে। যা কেশবপুর শহরের একটি বাসায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি বিজয়ী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগসহ তৃণমূল আওয়ামী লীগ যখন শক্তশালী ও ঐক্যবদ্ধ ঠিক তখনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এ ধরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায় ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মাষ্টার। নেতৃবৃন্দ নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ-সহ উক্ত ৩ জনের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন-কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মুখার্জি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম মহব্বত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বিএম শহিদুজ্জামান শহীদ, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক সরদার মনসুর আলী, ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আনিসুর রহমান আনিস, গৌরীঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, হাসানপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, সিনিয়র সহ সভাপতি নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক কে এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আরশাদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তহমিনা খাতুন, সদস্য রনি হোসেন, জি এম হিরোন তারেক, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মনি, সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক সরদার রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিয়ার রহমান পিরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুল হালিম, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা আমজাদ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান, মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দীন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।