সোনালী আশে ভরপুর, ভালবাসি ফরিদপুর। পাট দেশের অন্যতম অর্থকারী ফসল। সারা দেশের মধ্যে এ ফসলটি সবচেয়ে বেশি চাষ হয় ফরিদপুর জেলায়। এ বছরও সোনালী আশ নামে পরিচিত পাটের ব্যাপক চাষ হয়েছে ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরের সদরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে তরতাজা হয়ে উঠেছে ক্ষেতের পাট গাছ। বর্তমানে মাথা উঁচু করে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী আশ নামে খ্যাত পাট গাছ। চলতি মৌসুমে তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে দু’তিন ইঞ্চি লিকলিকে পাটগাছ নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন চাষিরা। পাটগাছের প্রাণ ফিরে পাওয়ায় কৃষকেরা ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। গত বছর মৌসুম শেষে খাল বিল জলাধারে পানি স্বল্পতা থাকায় এবং বাজারে দাম কম থাকায় পাটে লাভ করতে পারেন নি তবে পাটকাঠি থেকে কিছুটা খরচ উঠাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবারে ৭০০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। পাটচাষিদের কে সার, বীজ ও কীটনাশক দেয়া হয়েছে। এবং সময় সময় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাটক্ষেত পরিচর্যারত কয়েকজন পাট চাষির সাথে সরাসরি কথা হয়। সেলিম মোল্লা এবার ৪ বিঘা জমিতে, বাবলু ৫ বিঘা, মহিউল দেড় বিঘা ও সেলিম মোল্লা ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এবারে বৃষ্টি সঠিক সময়ে হওয়ায় সেচ খরচ বেঁচে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। তারা আরও বলেন, গতবারের মত এবারও মৌসুম শেষে খালে পানি না থাকলে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। পাটের ভাল আঁশ পেতে পরিষ্কার পানির দরকার আর বাজারে ভাল দাম না পেলে কষ্টই বৃথা যাবে। উপজেলার সাড়ে সাত রশি বাজারের ফড়িয়া পরিতোষ সাহা জানান, পাটকলগুলোর চাহিদা থাকলে দাম বাড়ে। তবে ভাল পাটের দাম সবসময়ই ভাল। উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান জানালেন, সরকারি নির্দেশনায় ১৮ টি পণ্যে পাটজাত দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে হবে সেখানে প্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আশা করি কৃষকেরা এবার ভাল দাম পাবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেছেন, বৃষ্টি পাওয়ায় ক্ষেতের পাট তরতাজা হয়েছে। আশা করি, পাটের ভাল ফলন হবে এবং কৃষকেরা লাভবান হবে।