সম্পাদকীয়
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯জন বিমান দুর্ঘটনায় শাহাদাত বরণ করার ঘটনায় আমার শোকাহত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের শাহাদাত কবুল করুন। আমীন। গত রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার সময় বিমান দুর্ঘটনায় তারা নিহত হয়েছেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির জানাজায় শোকাহত মানুষের ঢল নেমেছিল। গত মঙ্গলবার (২১ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজ শহরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ইরানি অংশ নিয়ে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানায়। আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাকে বিদায় জানাতে হাজার হাজার ইরানি পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে জড়ো হয়। তারা ইরানের পতাকা ও প্রেসিডেন্ট রাইসির ছবি হাতে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করেন। গত রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এখানেই ফিরছিলেন রাইসি। এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি ও তার সাথে একই হেলিকপ্টারে থাকা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আব্দুল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন বলে মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা এনিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত জরুরি। নাশকতা প্রমাণ পেলে দায়ী বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব। তিনি এমন এ সময় চলে গেলেন যখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে চলছে এক অস্থির অবস্থা। তাঁর এভাবে বিদায় এ সঙ্কট যেন আরো না বাড়ায় দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা বিশ্বসম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম নেতাদের দায়িত্ব। আমরা মনে করি শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা ভূমিকা সাহসিকতার যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।