ছবি-কার্ব গ্রহণ না করলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ভাত খাওয়া বাদ দেন। তবে খাদ্যতালিকা থেকে ভাতসহ বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে ওজন কমলেও শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আবার কার্ব গ্রহণ না করলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এ কারণে অনেক পুষ্টিবিদরাই জানাচ্ছেন, ভাত খাওয়া মানেই হু হু করে ওজন বাড়বে এমনটা কিন্তু নয়। তাদের মতে, সকাল-বিকেল এক থালা ভাত নিয়ে বসা যেমন কাজের কথা নয়, ঠিক তেমনই তাকে পুরোপুরি বাদ দেওয়াও উচিত নয়। অনেকেই ওজন কমাতে এখন একেবারেই ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন। সুষম খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ভাত রাখা উচিত, তবে তা পরিমাণমতো। শরীর ভালো রাখতে দিনে ১৫০ গ্রামের মতো ভাত খেতে পারেন।
ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায় অনেকটা। তবে ভাতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে না। এতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগায়। এতে উপস্থিত ফাইবার পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন ও রক্তচাপ বশে রাখতে সাহায্য করে।
ভাত খেলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে সেই ভয়ে অনেক ডায়াবেটিক রোগীও ভাত ছেড়েছেন। ডায়াবেটিস থাকলে ভাতের পাশাপাশি শাকসবজি ও সালাদ রাখুন এক বা আধা কাপ ভাতের সঙ্গে।
ওজন ঝরাতে চাইলে ভাত খাওয়ার সময় কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখবেন?
ক্যালোরি মেপে খান: ভাত খাওয়া উপকারী বলে ৪ বেলা ভাত খাওয়া কিন্তু চলবে না! পরিমাণ কিন্তু বড় বিষয়। সারা দিনে আপনি কতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তার উপরই নির্ভর করবে দিনে ঠিক কতটা ভাত খাওয়া উচিত।
শাক-সবজি রাখুন: ভাতের সঙ্গে পাতে বেশি শাক-সবজি রাখুন। সবুজ শাক-সবজি ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। তাই পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে।
ভাত খান: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সেদ্ধ করা ভাত রাখুন। ভাতের সঙ্গে তেল, ঘি মেশালে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাছাড়া ওজন বেড়ে যেতে পারে।
বাদামি চালের ভাত খান: ব্রাউন বা বাদামি চালের ভাত খান। এতে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। সাদা চালের তুলনায় ক্যালোরিও কম থাকে এতে। তাই ওজন ঝরাতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে ভাত একেবারে বাদ না দিয়ে, ব্রাউন রাইস খেতেই পারন।
সকালে বা রাতে নয় দুপুরে ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। রাতে খুব ভারি খাবার খেলে বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা হয়। তাই রাতে নয়, দিনের বেলায় ভাত খান। ওজন ঝরাতে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সূত্র: হেলথলাইন/এনডিটিভি